স্পোর্টস ডেস্ক: শুরু থেকেই ওপেনারদের করুণ অবস্থা। তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার আর লিটন দাস-কেউই রান করেননি। এক পর্যায়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়েও ওপেন করানো হলো। কিন্তু অবস্থার কোনোই পরিবর্তন ঘটেনি। একই থেকে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ৩৫ রান ছাড়া কোনো খেলায় বাংলাদেশের ওপেনাররা ১০ রানের বেশি জুটি গড়ে দিতে পারেননি। তাহলে ওপেনিং সংকট কাটাতে আর কী করা যেতো?
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোদ্ধা-বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন, টপ অর্ডারের বিপর্যয় রোধ এবং ওপরের দিকে রান খরা কাটাতে তাওহিদ হৃদয়কে ব্যবহার করা যেতো। এই তরুণ সাহস ও আস্থা নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন। তাকে টপ অর্ডারে চেষ্টা করা যেতো। তাহলে শুরুতে মোমেন্টামটা নিয়মিতভাবে খোয়া যেত না। হৃদয়কে এমন সময় নামানো হয়েছে, যখন বাংলাদেশ দল মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলেছে।
পাশাপাশি অনেকের মতে, জাকের আলী অনিকের অন্তর্ভুক্তিটা কোনোই কাজে দেয়নি। তিনি নিচের দিকেও কিছু করতে পারেননি। আবার তাকে দিয়ে ওপেন করানো বা তিন নম্বরে খেলানোর সাহসটাও পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কারো কারো মত, জাকের আলী অনিকের বদলে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বেটার চয়েজ হতে পারতেন।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, টপঅর্ডারের সংকট কাটাতে আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথাও বিবেচনায় আনা যেত। আফিফ নানা কারণেই কার্যকর হতে পারতেন।
আফিফকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আর নেওয়া হয়নি। এমন চিন্তাও করেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট।
হাবিবুল বাশার বললেন, কঠিন কন্ডিশনে আফিফকে খেলালে তিনি সফলও হতে পারতেন। সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চলেছে আফিফকে গড়ে তোলার। মাঝখানে সে কিছুদিন অফফর্মে ছিল। পরে নিজেকে ফিরে পেয়েছিল।’
আফিফ ও জাকেরের তুলনা করে বাশার বলেন, ‘আফিফ হলো সেই জাতের ব্যাটার, যে লম্বা শট খেলতে পারে। আর জাকের উইকেটকিপার ব্যাটার, পাওয়ার হিটিং করতে পারে। কিন্তু যখন কঠিন কন্ডিশন থাকে, বিশেষ করে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে বাংলাদেশের খেলাগুলো যেখানে হয়েছে, সেখানে কঠিন উইকেট ছিল। সেখানে আফিফের মত প্রপার ব্যাটার এবং যারা প্রপার শটস খেলে, তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
বিজনেস আওয়ার/২৬ জুন/রানা