বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের তাণ্ডবে একদিনের ব্যবধানে প্লাবিত হয়েছে আরও অন্তত চারটি জেলা। এ নিয়ে রাজ্যের ২৭ জেলায় ১৬ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আসামের রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ)।
প্রতিদিনের বন্যা সম্পর্কিত রিপোর্টে এএসডিএমএ জানিয়েছে, বন্যায় আসামে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যটিতে চলতি বছর বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। তারা বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বারপেটা, বিশ্বনাথ, কাছাড়, চরাইদেও, চিরাং, দাররাং, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, হাইলাকান্দি, হোজাই, জোড়হাট, কামরূপ, কামরুপ মেট্রোপলিটন, পূর্ব কার্বি আংলং, পশ্চিম কার্বি আংলং, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর এবং তিনসুকিয়া জেলায় বন্যার কারণে ১৬ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ধুবরিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যাকবলিত ২৪ জেলায় এরই মধ্যে ৫১৫টি ত্রাণ শিবির এবং ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করেছে প্রশাসন। এসব জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় চার লাখ মানুষ। দুর্গত এলাকাগুলো থেকে অন্তত ৮ হাজার ৪০০ জনকে উদ্ধার করেছেন জরুরি উদ্ধারকর্মীরা।
এএসডিএমএ জানিয়েছে, বর্তমানে ২ হাজার ৮০০টি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে এবং রাজ্যজুড়ে ৪২ হাজার ৪৭৬ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু বাঁধ, রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো।
এই মুহূর্তে নিমাতিঘাট, তেজপুর, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া এবং ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উপচে পড়ছে এর উপনদীগুলোতেও। এগুলোর মধ্যে বাদাটিঘাটে সুবানসিরি, চেনিমারিতে বুরহিডিহিং, শিবসাগরে দিখৌ, নাংলামুরাঘাটে ডিসাং, নুমালিগড়ে ধানসিড়ি এবং কামপুর ও ধরমতুলে কপিলি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে।
আসামের বন্যায় মানুষের পাশাপশি ১১ লাখ ২০ হাজার গৃহপালিত পশু ও হাঁস-মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: পিটিআই
বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই/হাসান