স্পোর্টস ডেস্ক: নামের সাথে ভিয়েইরা দ্য সিলভা থাকলেও বিশ্বব্যাপি তার পরিচিতি মার্তা নামেই। ব্রাজিলের কিংবদন্তি এই নারী ফুটবলার প্যারিস যাচ্ছেন ষষ্ঠবার অলিম্পিক গেমস খেলতে। টোকিওতেই তিনি টানা পাঁচ অলিম্পিক খেলার রেকর্ড গড়েছিলেন। এবার সেই রেকর্ডকে আরো উঁচুতে নিয়ে খুলে ফেলবেন ব্রাজিলের হলুদ জার্সি।
জাতীয় দলে এই বছরই (২০২৪) তার শেষ- এমন ঘোষণা গত এপ্রিল দিয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান। চোখ ছিল তার অলিম্পিকে। বলেছিলেন, ‘অলিম্পিকে খেলা হোক বা না হোক, ২০২৫ সালে আমাকে আর জাতীয় দলে দেখা যাবে না।’
নারী ফুটবলে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়া মার্তা অলিম্পিক খেলেই নিতে পারছেন অবসর। ব্রাজিলের নারী-পুরুষ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা এই ফরোয়ার্ডকে নিয়েই যে প্যারিস যাচ্ছেন কোচ আর্থার হোসে রিবার্স এলিয়াস।
মার্তাকে দলে রেখে কোচ রিবার্স বলেছেন, ‘মার্তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং তার অনেক অর্জন। এখনো তিনি ভালো খেলছেন এবং তালিকায় তিনি থাকার যোগ্য। এটা ঠিক, তার কাছ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলা আদায়ের উপায় বের করা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তবে সে (মার্তা) জানে, মাঠে কি করতে হবে।’
ক্লাব ফুটবলে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডো প্রাইডের হয়ে খেলছেন মার্তা। তিনি গত বছর অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে হওয়া নারী বিশ্বকাপে খেলেছেন। যেটি ছিল তার ষষ্ঠবার অংশগ্রহণ। এই বিশ্বকাপে ব্রাজিল নকআউট পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল।
২০০৪ সালে অ্যাথেন্স ও ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে রৌপ্য জিতেছিল ব্রাজিল। দুই দলেরই সদস্য ছিলেন মার্তা। তিনি বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বাধিক গোলদাতা। ২৩ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৭টি গোল।
২০০২ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক তার। ১৮৩ ম্যাচ খেলে ১১৮ গোল করেছেন মার্তা। ১৬ বছর বয়সে ভাস্কো দা গামার জার্সিতে ক্লাব ফুটবলে অভিষেক। দীর্ঘ ক্লাব ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ গোল আছে মার্তার।
বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই/রানা