স্পোর্টস ডেস্ক:মেয়ের জামাই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার সময় কোনো ধরনের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেননি বলে জানিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। শাহিন নেতৃত্বে টেকেন মাত্র একটি সিরিজ। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আবারও বাবর আজমকে অধিনায়ক করা হয়। সে সময় বাবরকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি।
যদিও বাবরের নেতৃত্বে পাকিস্তান একদমই ভালো করতে পারেননি। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় আনপ্রেডিক্টেবলদের। এবার বাবরকে সরানোর পক্ষে মত দিলেন শহিদ আফ্রিদি।
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এবারও তাই হয়েছে। শহিদ আফ্রিদির মতে, বাবরের মতো এত সময় পাকিস্তানের আর কোনো অধিনায়কই পায়নি।
এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে রয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি। তিনি লেজেন্ডসদের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স দলের হয়ে খেলছেন। সেখান থেকেই বাবর আজমের নেতৃত্ব ইস্যুতে মুখ খুলেছেন সাবেক অধিনায়ক।
আফ্রিদি বলেন, ‘বাবরের বিষয়ে যদি আমি বলতে যাই, তাহলে বলব আমাদের আর কোনও অধিনায়ক দলের নেতা হিসেবে এত সময়-সুযোগ পায়নি। আমার মতে, সময় এসে গেছে নতুন অধিনায়ক নিয়োগ করার এবং তাকে সঠিকভাবে সমর্থন করার। আমি পাকিস্তান দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছি। ইউনিস খান অধিনায়কত্ব করেছে। মিসবাহ উল হক অধিনায়কত্ব করেছে। আমাদের কেউ কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে এত সময় এবং সুযোগ পাইনি। যেটা বাবর আজমকে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই পিসিবির উচিত ছিল বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া।’
আফ্রিদি যোগ করেন, ‘বাবরকে প্রচুর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দু-তিনটে বিশ্বকাপে ও জাতীয় দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছে। দু-তিনটে এশিয়া কাপেও অধিনায়ক ছিল। আমার মতে যাকেই আনা হোক, নতুন অধিনায়ক হিসেবে এটাই সঠিক সময়। তাকে অধিনায়কত্ব দিলেই হবে না। পিসিবিকে পূর্ণ সমর্থনও দিতে হবে। আমার মতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন, সেই সিদ্ধান্তকে ভুল বা ঠিক প্রমাণ করতে যেন সময় দেওয়া হয়। সেটা কোচ হোক, অধিনায়ক হোক বা যে কেউ হোক; সবার জন্য এটা প্রযোজ্য।’
পিসিবির নির্বাচক কমিটি থেকে আবদুল রাজ্জাক এবং ওয়াহাব রিয়াজকে সরানোতেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শহিদ আফ্রিদি।
বিজনেস আওয়ার/ ১২ জুলাই / রানা