স্পোর্টস ডেস্ক: একজন বার্সেলোনার সাবেক তারকা, কিংবদন্তি বললেও ভুল হবে না; আরেকজন বার্সায় খেলা শুরু করেছেন সবেমাত্র ১ বছরের বেশি কিছু সময় হলো। বলছিলাম লিওনেল মেসি ও লামিন ইয়ামালের কথা। দুই জনই এখনো ফুটবল মাঠেই আছেন, দ্যুতিও ছড়াচ্ছেন।
বয়সের তুলনায় মেসি (৩৭) অনেক সিনিয়র হলেও সমভাবে দর্শক মাতাচ্ছেন আর কয়েক ঘণ্টা পর ১৭ বছরে পা রাখতে যাওয়া ইয়ামালও। বর্তমানে আর্জেন্টিনার জার্সিতে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলার অপেক্ষায় মেসি, অন্যদিকে স্পেনের জার্সিতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার অপেক্ষা করছেন ইয়ামাল।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসি ও ইয়ামালের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা গেছে, ৬ মাস বয়সের শিশু লামিন ইয়ামালকে কোলে নিয়ে হাসিমুখে তাকিয়ে আছেন মেসি। ছবিটি ২০০৭ সালের। তখন বার্সায় যোগ দেওয়ার প্রায় ৩ বছর হয়েছিল মেসির।
জাতিসংঘ জরুরি শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর অধিভুক্ত একটি চ্যারিটির ক্যালেন্ডার নিমার্ণের জন্য শিশুদের ছবি সংগ্রহ করা হচ্ছিল তখন। ওই সময় তারই ধারাবাহিকতায় ইয়ামালের সঙ্গেও ছবি তোলেন মেসি।
ভাইরাল হওয়ার পর ছবিটি নিয়ে কথা বলেছেন ইয়ামাল। স্পেনের এই তরুণ তারকা জানিয়েছেন, এতদিন ছবিটি গোপন রাখা হয়েছিল। কারণ, তিনি আসলে নিজেকে মেসির সঙ্গে তুলনা করতে চান না। আর এতে তার ক্যারিয়ারের কোনো উপকার হবে বলেও মনে করেন না ইয়ামাল।
আজ শুক্রবার ইয়ামাল বলেন, অবশ্যই, ছবি তোলার মুহূর্তে আমি সেই বয়সে কী ঘটছিল সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমার বাবা ছবিগুলো সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। সেগুলো কখনই বের করে আনা হয়নি। মূলত, কারণ আমরা মেসির সঙ্গে তুলনা চাই না।
খেলায় কার সেরা, সেটি তুলনা করা হলে কেউ বিরক্ত হবে না। তবে এটি এমন কিছু, যা আপনার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। কারণ, আপনি কখনই তার (মেসি) মতো হতে যাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার মেসি তার ছেলেকে আশীর্বাদ করেছেন কিনা জানতে চাইলে মুনির বলেন: “হয়তো লামিন লিওকে আশীর্বাদ করেছেন। আমার ছেলে সব কিছুতেই সেরা, শুধু একজন ফুটবলার হিসেবে নয়, একজন ব্যক্তি হিসেবেও।”
গত সপ্তাহে ইয়ামালের বাবা মৌনির নাসরাউই ইনস্টাগ্রামে ইয়ামাল ও মেসির ক্রপ (কেটে ছোট করা) ছবিটি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুরু।
এরপরই মূলত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে।
বিজনেস আওয়ার/ ১২ জুলাই / রানা