বিনোদন ডেস্ক: ছোটপর্দার নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ ছাড়লেন ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ সিনেমার নির্মাতা রিয়াজুল রিজু। ‘অসাংগঠনিক’ ও ‘শৃঙ্খলাবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে গতকাল (১৪ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
গত ১০ জুলাই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে কেক কাটার সময় ‘অশ্লীল নাচ’ করতে দেখা গেছে কয়েকজনকে। এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সংগঠনটিকে। ঘটনায় ব্যবস্থা না নেওয়ায় আইন ও কল্যাণবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন রিজু।
রিয়াজুল রিজু বলেন, ‘এই সংগঠন আমাদের সকল নাট্যনির্মাতার প্রাণের সংগঠন। যদি ব্যক্তি কোনো পোস্টে থাকে, তবু আঙুলটা সংগঠনের দিকেই উঠবে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হবে, এটাই স্বাভাবিক। যে বা যারা পোস্টে থাকে, তাদের কাজকর্মে আরো বেশি সংযত হওয়া উচিত। ব্যক্তিগতভাবে কার সঙ্গে কে কীভাবে কখন পার্টি করলেন, সেটা দেখার বিষয় নয়। কিন্তু যখন সংগঠনের অনুষ্ঠান, তখন অনেক বেশি সচেতন থাকা উচিত। কারণ ৮০০ মেম্বারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আপনাকে, তাদের অধিকার বা সম্মান খর্ব করার জন্য নয়। ওই ঘটনায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছিল। আমি সভাপতি ও সেক্রেটারিকে দুই এক দিনের মধ্যে একটি প্রেস রিলিজ দেওয়ার আহ্বান জানাই। কিন্তু তারা বিষয়টা কর্ণপাত করেননি। এ কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।’
এই প্রসঙ্গে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ-এর সম্পাদক সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি স্যোশাল মিডিয়ায় দেখেছি। এখনও দাপ্তরিকভাবে কোনো চিঠি পাইনি।’
গত বছরের মার্চ মাসে সংগঠনটির ২০২৩-২৫ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি হন অনন্ত হিরা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর। ওই নির্বাচনে একই সঙ্গে বিভিন্ন কার্যনির্বাহী পদে নির্বাচিত হন আরও ১৯ সদস্য। নির্বাচনের ছয় মাস পার না হতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর অনাস্থা আনেন কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৭ জন সদস্য। এরপর চলে সদস্যপদ স্থগিত, উকিল নোটিশ, উভয় পক্ষের পরস্পরের প্রতি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। ওই সময় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১০ এর ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি রিজুকে আইন ও কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সহযোজিত (কো-অপট) করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/ ১৫ জুলাই / রানা