বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ইরানের মাটিতে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। তিনি হানিয়াকে একজন ‘গর্বিত যোদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর বিবিসির।
নাসের কানানির বরাত দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, হানিয়ার রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। তিনি জানিয়েছেন, ইরান এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। তার এই আকস্মিক মৃত্যু ইরান এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গভীর এবং অটুট বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, হামাস একটি ধারণার নাম, হামাস একটি আদর্শ। হামাস নেতার মৃত্যুতে সংগঠনের কোনো পরিবর্তন হবে না এবং হামাস কখনো আত্মসমর্পণ করবে না বা আর কোনো ছাড় দেবে না।
১৯৬২ সালে গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ইসমাইল হানিয়া শুরু থেকেই হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
এদিকে ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার খবরে স্বস্তি জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক মন্ত্রী। যদিও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ইতোমধ্যেই দেশটির বেশ কিছু রাজনীতিবিদ তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের ঐতিহ্য বিষয়কমন্ত্রী আমিচায় ইলিয়াহু সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, হানিয়ার মৃত্যু বিশ্বকে আরও নিরাপদ করে তুলবে। তিনি বলেন, বিশ্ব থেকে কলুষতা দূর করার এটাই সঠিক উপায়। এদের জন্য আর কোনো শান্তি/আত্মসমর্পণ চুক্তি নয়, আর কোনো করুণা নেই।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান হানিয়াকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়া তার এক দেহরক্ষীসহ তেহরানে নিহত হন।
ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কোরের সেপাহ নিউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরানে হামাস ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এবং তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। হামাসের পক্ষ থেকেও বুধবার এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ার বাসস্থানে ‘ইহুদিবাদী গুপ্ত হামলার’ ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬২ বছর বয়সী হামাসপ্রধান ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ ইসমাইল হানিয়া, আন্দোলনের প্রধান তেহরানে তার সদর দপ্তরে ইহুদিবাদী আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন। তিনি ইরানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
বিজনেস আওয়ার/ ৩১ জুলাই / হাসান