ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০
  • 8

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর বিলডগা গ্রামের অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। রোববার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন করা হয়।

গোপালপুরের মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার নাতনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী রিপা আক্তার (১৪) গত ১৬ আগস্ট রাত সোয়া ১১টার দিকে পানি ব্যবহারের জন্য বাড়ির দক্ষিণপাশে টিউবয়েলের কাছে যায়। সে সময় একই উপজেলার চতিলা গ্রামের সাকিল হাসান, হাছিনা বেগম, শাফী উদ্দিন, মো. শফিকুল, রেহেনা বেগম ও মো. সোলায়মান তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

অনেক খোঁজাখোঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার নাতনিকে উদ্ধারের জন্য এলাকার মাতাব্বরদের কাছে গেলে তারা আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে নানাভাবে তালবাহানা করতে থাকে। তাদের কাছ থেকে কোন সুরাহা না পেয়ে গত ২১ আগস্ট গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ আসামী সোলায়মানকে গ্রেফতার করে।

সে পুলিশকে জানায়, সাকিল হাসানসহ আসামীরা রিপাকে অপহরণ গাজীপুরের অজ্ঞাত স্থানে রেখেছে। এরপরও ঢাকার দক্ষিণখান থানার আটিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির মোড় এলাকা থেকে ওই মামলার আসামী হাছিনা বেগম ও শাফী উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। তারাও রিপাকে অপহরণের কথা স্বীকার করে। গত ১২ অক্টোবর অপর আসামী শফিকুলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরও রিপাকে উদ্ধার করতে পারেনি।

রিপা আক্তারের পিতা রফিকুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসামীরা নানাভাবে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা যে কোন সময় তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী খান বলেন, দেড় মাস হলেও নাতনি রিপার কোন সন্ধানই পাওয়া যাচ্ছে না। সে বেঁচে আছে নাকি আসামীরা তাকে মেরে ফেলেছে তাও জানি না। আসামী গ্রেফতার হলেও পুলিশ এতদিনেও আমার নাতনিকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা রিপার সন্ধান চাই।

বিজনেস আওয়ার/২৫ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর বিলডগা গ্রামের অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। রোববার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন করা হয়।

গোপালপুরের মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার নাতনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী রিপা আক্তার (১৪) গত ১৬ আগস্ট রাত সোয়া ১১টার দিকে পানি ব্যবহারের জন্য বাড়ির দক্ষিণপাশে টিউবয়েলের কাছে যায়। সে সময় একই উপজেলার চতিলা গ্রামের সাকিল হাসান, হাছিনা বেগম, শাফী উদ্দিন, মো. শফিকুল, রেহেনা বেগম ও মো. সোলায়মান তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

অনেক খোঁজাখোঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার নাতনিকে উদ্ধারের জন্য এলাকার মাতাব্বরদের কাছে গেলে তারা আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে নানাভাবে তালবাহানা করতে থাকে। তাদের কাছ থেকে কোন সুরাহা না পেয়ে গত ২১ আগস্ট গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ আসামী সোলায়মানকে গ্রেফতার করে।

সে পুলিশকে জানায়, সাকিল হাসানসহ আসামীরা রিপাকে অপহরণ গাজীপুরের অজ্ঞাত স্থানে রেখেছে। এরপরও ঢাকার দক্ষিণখান থানার আটিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির মোড় এলাকা থেকে ওই মামলার আসামী হাছিনা বেগম ও শাফী উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। তারাও রিপাকে অপহরণের কথা স্বীকার করে। গত ১২ অক্টোবর অপর আসামী শফিকুলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরও রিপাকে উদ্ধার করতে পারেনি।

রিপা আক্তারের পিতা রফিকুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসামীরা নানাভাবে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা যে কোন সময় তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী খান বলেন, দেড় মাস হলেও নাতনি রিপার কোন সন্ধানই পাওয়া যাচ্ছে না। সে বেঁচে আছে নাকি আসামীরা তাকে মেরে ফেলেছে তাও জানি না। আসামী গ্রেফতার হলেও পুলিশ এতদিনেও আমার নাতনিকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা রিপার সন্ধান চাই।

বিজনেস আওয়ার/২৫ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: