ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • 111

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনাগুলো তদন্তে সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। তবে ‘স্বাধীনভাবে’ তদন্ত করতে হলে আগে জাতিসংঘের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। বুধবার (৩১ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই যেকোনো সরকারকে সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত। তারা বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করতে পারে। কীভাবে তাদের সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করা যায়, আমরা তা দেখি। তবে স্বাধীনভাবে তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার (সাধারণ পরিষদ) অনুমতির প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নিহত ও গ্রেফতার হওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশে তাজা গুলি ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছি। বাংলাদেশ বা অন্য যেকোনো জায়গার সরকারকে জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার এবং সাংবাদিকদের স্বাধীন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করার অধিকার রক্ষা করতে হবে।

এর আগে পাঠ করা এক বিবৃতিতে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সহিংসতা সত্ত্বেও সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, সেখানে একটি মানবিক সংকট চলছে। আমরা এবং আমাদের অংশীদাররা বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ বেশ কয়েকটি জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। ইন্টারনেট বিভ্রাট, ব্যাংক বন্ধ এবং কারফিউয়ের মতো চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও আমাদের অংশীদাররা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত মাসে আমরা এবং আমাদের অংশীদাররা ১২ লাখ মানুষকে সহায়তার জন্য আট কোটি মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা চালু করেছি। বর্তমানে এই কর্মসূচির মাত্র ১৮ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য গত ৫ জুন কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল থেকে ৭৫ লাখ ডলার ছাড় করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তী সম্প্রদায়গুলোকে নগদ অর্থ প্রদানের জন্য গত ৪ জুলাই আরও ৬২ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। এবং অবশ্যই, মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী ও এবং স্থানীয়দের সহায়তার জন্য কক্সবাজারে একটি বিশাল মানবিক অভিযান চলমান রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ০১ আগস্ট/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাংলাদেশকে তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনাগুলো তদন্তে সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। তবে ‘স্বাধীনভাবে’ তদন্ত করতে হলে আগে জাতিসংঘের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। বুধবার (৩১ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই যেকোনো সরকারকে সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত। তারা বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করতে পারে। কীভাবে তাদের সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করা যায়, আমরা তা দেখি। তবে স্বাধীনভাবে তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার (সাধারণ পরিষদ) অনুমতির প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নিহত ও গ্রেফতার হওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশে তাজা গুলি ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছি। বাংলাদেশ বা অন্য যেকোনো জায়গার সরকারকে জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার এবং সাংবাদিকদের স্বাধীন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করার অধিকার রক্ষা করতে হবে।

এর আগে পাঠ করা এক বিবৃতিতে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সহিংসতা সত্ত্বেও সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, সেখানে একটি মানবিক সংকট চলছে। আমরা এবং আমাদের অংশীদাররা বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ বেশ কয়েকটি জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। ইন্টারনেট বিভ্রাট, ব্যাংক বন্ধ এবং কারফিউয়ের মতো চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও আমাদের অংশীদাররা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত মাসে আমরা এবং আমাদের অংশীদাররা ১২ লাখ মানুষকে সহায়তার জন্য আট কোটি মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা চালু করেছি। বর্তমানে এই কর্মসূচির মাত্র ১৮ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য গত ৫ জুন কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল থেকে ৭৫ লাখ ডলার ছাড় করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তী সম্প্রদায়গুলোকে নগদ অর্থ প্রদানের জন্য গত ৪ জুলাই আরও ৬২ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। এবং অবশ্যই, মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী ও এবং স্থানীয়দের সহায়তার জন্য কক্সবাজারে একটি বিশাল মানবিক অভিযান চলমান রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ০১ আগস্ট/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: