ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতারে হানিয়ার দাফন আজ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • 103

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলায় নিহত হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার মরদেহ কাতারে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) দেশটির রাজধানী দোহায় তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। দাফনের আগে কাতারের সবচেয়ে বড় মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, হানিয়ার দ্বিতীয় জানাজায় আরব ও ইসলামিক অনেক নেতা অংশ নেবেন। পরে তার মরদেহ দোহার উত্তরে অবস্থিত লুসাইলের একটি কবরস্থানে দাফন করা হবে। হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহাতে বসবাস করতেন।

এদিকে, হানিয়ার সম্মানে শুক্রবার শোক দিবস ঘোষণা করেছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। অন্যদিকে, হামাস এটিকে ‘ক্ষোভের দিন’ ঘোষণা করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হানিয়ার মরদেহ ইরান থেকে বৃহস্পতিবার দোহায় পৌঁছায়। হামাস ও কাতারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে, কাতারের জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের পরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর লুসাইল শহরে তাকে দাফন করা হবে। আরব ও ইসলামিক নেতাদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি অন্যান্য উপদলের প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ এতে যোগ দেবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ইমামতিতে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ওই জানাজায় অসংখ্য মানুষের ঢল নামে।

বুধবার (৩১ জুলাই) ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বুধবার ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

খবরে বলা হয়েছে, তেহরানে ইসমাইল হানিয়া হত্যার শিকার হয়েছেন ঘোষণার পরপরই জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। সেসময় ইসরায়েলে সরাসরি হামলা করতে নির্দেশ দেন খামেনি।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে আলোচনায় বসতে চলেছে ইরান ও দেশটির মিত্ররা। জানা গেছে, এ ব্যাপারে আলোচনা করতে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কাতারে হানিয়ার দাফন আজ

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলায় নিহত হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার মরদেহ কাতারে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) দেশটির রাজধানী দোহায় তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। দাফনের আগে কাতারের সবচেয়ে বড় মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, হানিয়ার দ্বিতীয় জানাজায় আরব ও ইসলামিক অনেক নেতা অংশ নেবেন। পরে তার মরদেহ দোহার উত্তরে অবস্থিত লুসাইলের একটি কবরস্থানে দাফন করা হবে। হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহাতে বসবাস করতেন।

এদিকে, হানিয়ার সম্মানে শুক্রবার শোক দিবস ঘোষণা করেছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। অন্যদিকে, হামাস এটিকে ‘ক্ষোভের দিন’ ঘোষণা করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হানিয়ার মরদেহ ইরান থেকে বৃহস্পতিবার দোহায় পৌঁছায়। হামাস ও কাতারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে, কাতারের জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের পরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর লুসাইল শহরে তাকে দাফন করা হবে। আরব ও ইসলামিক নেতাদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি অন্যান্য উপদলের প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ এতে যোগ দেবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ইমামতিতে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ওই জানাজায় অসংখ্য মানুষের ঢল নামে।

বুধবার (৩১ জুলাই) ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বুধবার ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

খবরে বলা হয়েছে, তেহরানে ইসমাইল হানিয়া হত্যার শিকার হয়েছেন ঘোষণার পরপরই জরুরি বৈঠকে বসেছিল ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। সেসময় ইসরায়েলে সরাসরি হামলা করতে নির্দেশ দেন খামেনি।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে আলোচনায় বসতে চলেছে ইরান ও দেশটির মিত্ররা। জানা গেছে, এ ব্যাপারে আলোচনা করতে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: