বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: চোখের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। কিন্তু, চোখের ওষুধ না দিয়ে তাকে দেওয়া হলো বাচ্চাদের পেট খারাপের ওষুধ। আর সেই ওষুধ চোখে পড়তেই ঘটে বিপত্তি। চোখ জ্বালা করতে শুরু করে ওই বৃদ্ধার। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
জানা যায়, বছর ষাটের ওই বৃদ্ধার নাম হাসি দাশ। তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের কদমকাননের শিরীষচক এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন এ নারী। তাই চিকিৎসার জন্য গত ১৩ জুন গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
হাসপাতাল থেকে হাসিকে দুটি চোখের ড্রপ দেওয়া হয়। সেই ওষুধ চোখে দিতেই জ্বালাপোড়া শুরু হয় বৃদ্ধার। এরপর গত ১৯ জুন আবারও হাসপাতালে যান তিনি। গিয়ে চিকিৎসককে আগের ওষুধ দেখান। চিকিৎসক তখন তেমন কিছু না বলে কেবল পুরোনো ওষুধের পরিবর্তে নতুন ওষুধ দেন।
পরে একটি ফার্মেসিতে গিয়ে হাসি পুরোনো ওষুধগুলো দেখালে জানতে পারেন, সেগুলো আসলে শিশুদের পেটব্যথা কমানোর ওষুধ।
এতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ হন হাসি দাশ। তিনি প্রথমে হাসপাতালের ড্রপবক্সে অভিযোগ জানান। কিন্তু সেখানে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি হাসপাতালের কর্মীরা তাকে চিঠি ফেলতে বাধা দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এরপরও হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গত ১০ জুলাই সোজা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানান বৃদ্ধা। এরপরেই প্রকাশ্যে আসে গাফিলতির বিষয়টি। নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, ভুল ওষুধে বৃদ্ধার চোখে কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি দেখতে পাচ্ছেন।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেছে গোটা রাজ্যে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট / হাসান