ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪
  • 91

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনার কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে। এতে মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন বলেও সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে গত কিছুদিনে সারাদেশে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি হয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সোমবার (৫ আগস্ট) ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই মধ্যে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে সরকার, ঘোষণা করা হয় তিনদিনের সাধারণ ছুটি।

কিন্তু সোমবার কারফিউ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ রাজধানীর শাহবাগের দিকে যেতে থাকেন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে দেশ ছাড়েন।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি-
(ক) তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।

অন্য মন্ত্রীদের পদের মেয়াদ নিয়ে সংবিধানের ৫৮ (৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকিলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে; তবে এই পরিচ্ছেদের বিধানাবলি-সাপেক্ষে তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন। ‘মন্ত্রী’ বলিতে প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত।

গত বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। এরপর ১১ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। ওই মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিল প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন। পরে ১ মার্চ আরও সাতজন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা হয় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৪ জন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছরের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তবে এ মন্ত্রিসভা প্রায় সাত মাসের মাথায় বিলুপ্ত হলো।

বিজনেস আওয়ার/০৫ আগস্ট / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনার কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে। এতে মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন বলেও সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে গত কিছুদিনে সারাদেশে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি হয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সোমবার (৫ আগস্ট) ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই মধ্যে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে সরকার, ঘোষণা করা হয় তিনদিনের সাধারণ ছুটি।

কিন্তু সোমবার কারফিউ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ রাজধানীর শাহবাগের দিকে যেতে থাকেন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে দেশ ছাড়েন।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি-
(ক) তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।

অন্য মন্ত্রীদের পদের মেয়াদ নিয়ে সংবিধানের ৫৮ (৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকিলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে; তবে এই পরিচ্ছেদের বিধানাবলি-সাপেক্ষে তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন। ‘মন্ত্রী’ বলিতে প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত।

গত বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। এরপর ১১ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। ওই মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিল প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন। পরে ১ মার্চ আরও সাতজন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা হয় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৪ জন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছরের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তবে এ মন্ত্রিসভা প্রায় সাত মাসের মাথায় বিলুপ্ত হলো।

বিজনেস আওয়ার/০৫ আগস্ট / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: