ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধীনস্থ কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানলেন সানাউল হক

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পদোন্নতির জন্য পদত্যাগের নাটকে জড়িত এক উচ্চভিলাষী কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানতে হলো ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হককে। তার ষড়যন্ত্রে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, পদন্নোতির জন্য পদত্যাগের নাটক সাজানো ওই অধীনস্থ কর্মকর্তা সবসময় ডিএসইর পর্ষদ সভায় কাজী সানাউল হককে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। প্রয়োজনীয় কাজ না করে সানাউলকে দোষারোপ করতেন। যা নিয়ে পর্ষদ সভায় সানাউলকে কটুক্তি করা হতো। এভাবেই নিয়মিত কটুক্তি শুনতে শুনতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

ডিএসইর এক পুরোনো সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজনেস আওয়ারকে বলেন, কাজী সানাউল হককে পদত্যাগে বাধ্য করতে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, তা নেক্কারজনক। তাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পদোন্নতির জন্য পদত্যাগের নাটকে জড়িত এক উচ্চভিলাষী কর্মকর্তা জড়িত বলে জানতে পেরেছি। এমন ষড়যন্ত্র ডিএসইতে আগে কখনো দেখা যায়নি। একজন অধীনস্থ কর্মকর্তার এমন ষড়যন্ত্রে সানাউল হক খুবই কষ্ট পেয়েছেন বলেও জানতে পেরেছি। যে অধীনস্থ কর্মকর্তা ডিএসইর এমডি হওয়ার জন্য এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে গুঞ্জন আছে।

তিনি বলেন, সানাউল হকের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিল না। নীতিগতভাবে তার দক্ষতা নিয়ে নিয়োগের বিরোধীতা করেছিল ৩জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক। কিন্তু এখন তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এসব ঘটনা ডিএসইর ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে।

সানাউল হক গত ৮ অক্টোবর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। যা ২১ অক্টোবর ডিএসইর পর্ষদ সভায় গৃহিত হয়েছে। অথচ তিনি মাত্র ৮ মাসে (৯ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে যোগদান করেন। তাকে ৩ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন….
রানার ব্যবহার করতে পারছে না আইপিও ফান্ড : বাড়াবে রিজার্ভ

সোনালি পেপার অতিরিক্ত কর দিতে রাজি, তবুও অর্ধেক নগদ লভ্যাংশ দেবে না

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে বিএসইসি

তাকে ডিএসইতে নিয়োগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন রকিবুর রহমান। অন্য শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের টেক্কা দিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালকদেরকে দলে টেনে এই কাজ করেন রকিবুর রহমান। আর সেই রকিবুর রহমান এখন এক কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্ষদ সভায় বলেন, কাজী সানাউল হককে নিয়োগ দেওয়া তার জীবনের বড় ভুল।

সানাউল হককে নিয়োগে যেহেতু রকিবুর রহমান সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তাই তার পদত্যাগে ডিএসইর এই পরিচালকের সেই চেষ্টার কারন নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। কিসের ভিত্তিতে তিনি ওইসময় অন্যসব শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের পাশ কাটিয়ে সানাউলকে নিয়োগ দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই পরিস্থিতিতে নিজের ব্যর্থতা আড়ালের জন্য সানাউল হকের পদত্যাগ আটকানোর জন্য চেষ্টাও করছেন রকিবুর রহমান। তবে সেই চেষ্টা সফল করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

4 thoughts on “অধীনস্থ কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানলেন সানাউল হক

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অধীনস্থ কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানলেন সানাউল হক

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পদোন্নতির জন্য পদত্যাগের নাটকে জড়িত এক উচ্চভিলাষী কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানতে হলো ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হককে। তার ষড়যন্ত্রে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, পদন্নোতির জন্য পদত্যাগের নাটক সাজানো ওই অধীনস্থ কর্মকর্তা সবসময় ডিএসইর পর্ষদ সভায় কাজী সানাউল হককে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। প্রয়োজনীয় কাজ না করে সানাউলকে দোষারোপ করতেন। যা নিয়ে পর্ষদ সভায় সানাউলকে কটুক্তি করা হতো। এভাবেই নিয়মিত কটুক্তি শুনতে শুনতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

ডিএসইর এক পুরোনো সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজনেস আওয়ারকে বলেন, কাজী সানাউল হককে পদত্যাগে বাধ্য করতে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, তা নেক্কারজনক। তাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পদোন্নতির জন্য পদত্যাগের নাটকে জড়িত এক উচ্চভিলাষী কর্মকর্তা জড়িত বলে জানতে পেরেছি। এমন ষড়যন্ত্র ডিএসইতে আগে কখনো দেখা যায়নি। একজন অধীনস্থ কর্মকর্তার এমন ষড়যন্ত্রে সানাউল হক খুবই কষ্ট পেয়েছেন বলেও জানতে পেরেছি। যে অধীনস্থ কর্মকর্তা ডিএসইর এমডি হওয়ার জন্য এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে গুঞ্জন আছে।

তিনি বলেন, সানাউল হকের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিল না। নীতিগতভাবে তার দক্ষতা নিয়ে নিয়োগের বিরোধীতা করেছিল ৩জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক। কিন্তু এখন তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এসব ঘটনা ডিএসইর ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে।

সানাউল হক গত ৮ অক্টোবর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। যা ২১ অক্টোবর ডিএসইর পর্ষদ সভায় গৃহিত হয়েছে। অথচ তিনি মাত্র ৮ মাসে (৯ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে যোগদান করেন। তাকে ৩ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন….
রানার ব্যবহার করতে পারছে না আইপিও ফান্ড : বাড়াবে রিজার্ভ

সোনালি পেপার অতিরিক্ত কর দিতে রাজি, তবুও অর্ধেক নগদ লভ্যাংশ দেবে না

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে বিএসইসি

তাকে ডিএসইতে নিয়োগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন রকিবুর রহমান। অন্য শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের টেক্কা দিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালকদেরকে দলে টেনে এই কাজ করেন রকিবুর রহমান। আর সেই রকিবুর রহমান এখন এক কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্ষদ সভায় বলেন, কাজী সানাউল হককে নিয়োগ দেওয়া তার জীবনের বড় ভুল।

সানাউল হককে নিয়োগে যেহেতু রকিবুর রহমান সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তাই তার পদত্যাগে ডিএসইর এই পরিচালকের সেই চেষ্টার কারন নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। কিসের ভিত্তিতে তিনি ওইসময় অন্যসব শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের পাশ কাটিয়ে সানাউলকে নিয়োগ দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই পরিস্থিতিতে নিজের ব্যর্থতা আড়ালের জন্য সানাউল হকের পদত্যাগ আটকানোর জন্য চেষ্টাও করছেন রকিবুর রহমান। তবে সেই চেষ্টা সফল করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: