ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিয়ে যা জানা গেলো

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 87

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন তিনি ও সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন। তবে শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত দেশটির সবুজ সংকেত পাননি বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, হাসিনা যে পদ্ধতিতে যুক্তরাজ্যের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন, ব্রিটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। কারণ তাদের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, ভ্রমণকারী কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার নিয়ম নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিয়ের স্টার্মার। শেখ হাসিনার আবেদন বিবেচনা করে দেখছে তার সরকার। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে কোনো ব্যক্তির জন্য নিকটতম নিরাপদ দেশেই আশ্রয় চাওয়া ভালো।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কঠিন সময়ে ব্যক্তিবিশেষকে আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে ব্রিটেনের। সে ইতিহাস গর্বের। কিন্তু ব্রিটেনে পৌঁছে সেখানে আশ্রয় চাওয়ার নিয়ম নেই।

তিনি আরও বলেন, যাদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রয়োজন, তারা দেশ ছাড়ার পর প্রথম যে নিকটবর্তী নিরাপদ দেশে পা রাখছেন, সেখানেই আশ্রয় চাওয়ার কথা। সেটিই তার নিরাপত্তা পাওয়ার দ্রুততম রাস্তা।

বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সেখানে আশ্রয় চাইতে পারবেন না শেখ হাসিনা। আগে থেকেই তাকে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানাতে হবে। কিন্তু হাসিনা সেই আবেদন করার সুযোগ পাননি।

এদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান টুইটে একথা জানিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ছোট বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান তিনি।

আপাতত তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন তার নিরাপত্তার বিষয়টি তারাই দেখছেন। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তৈরিতে তাকে আরও কিছুদিন সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের অনীহা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা দেশটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক। এছাড়া রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য, যা হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টিকে সহায়তা করবে।

সূত্র: এনডিটিভি

বিজনেস আওয়ার/০৬ আগস্ট / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিয়ে যা জানা গেলো

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন তিনি ও সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন। তবে শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত দেশটির সবুজ সংকেত পাননি বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, হাসিনা যে পদ্ধতিতে যুক্তরাজ্যের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন, ব্রিটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। কারণ তাদের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, ভ্রমণকারী কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার নিয়ম নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিয়ের স্টার্মার। শেখ হাসিনার আবেদন বিবেচনা করে দেখছে তার সরকার। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে কোনো ব্যক্তির জন্য নিকটতম নিরাপদ দেশেই আশ্রয় চাওয়া ভালো।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কঠিন সময়ে ব্যক্তিবিশেষকে আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে ব্রিটেনের। সে ইতিহাস গর্বের। কিন্তু ব্রিটেনে পৌঁছে সেখানে আশ্রয় চাওয়ার নিয়ম নেই।

তিনি আরও বলেন, যাদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রয়োজন, তারা দেশ ছাড়ার পর প্রথম যে নিকটবর্তী নিরাপদ দেশে পা রাখছেন, সেখানেই আশ্রয় চাওয়ার কথা। সেটিই তার নিরাপত্তা পাওয়ার দ্রুততম রাস্তা।

বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সেখানে আশ্রয় চাইতে পারবেন না শেখ হাসিনা। আগে থেকেই তাকে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানাতে হবে। কিন্তু হাসিনা সেই আবেদন করার সুযোগ পাননি।

এদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান টুইটে একথা জানিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ছোট বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান তিনি।

আপাতত তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন তার নিরাপত্তার বিষয়টি তারাই দেখছেন। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তৈরিতে তাকে আরও কিছুদিন সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের অনীহা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা দেশটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক। এছাড়া রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য, যা হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টিকে সহায়তা করবে।

সূত্র: এনডিটিভি

বিজনেস আওয়ার/০৬ আগস্ট / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: