বিনোদন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই সংহতি জানিয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী আলম আরা মিনু। সক্রিয় ছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছাত্রহত্যা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উৎকণ্ঠা কাটেনি তার। এখনও ভাবছেন, যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, তা কি ধরে রাখতে পারবে তরুণেরা?
ছাত্রদের অভ্যুত্থানের পর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শিল্পী আলম আরা মিনু কথা বলেন । নতুন সরকারের কাছে তার প্রত্যাশা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। চারদিক থেকে যেসব খবর পাচ্ছি, তা মোটেও সুখকর নয়। নতুন সরকারের কাছে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে, আমরা সবাই শান্তি চাই। সঠিক আইন প্রয়োগ হোক। মানুষ যেন নিরাপদ থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হোক।’
দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে মিনু বলেন, ‘বড় একটি চাওয়া পূরণ হয়েছে। কিন্তু যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটা ভালো হলো না। এসব ভেবে আমি মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছি না। আর এখন নতুন সরকার গঠিত হলো, এখন সারাক্ষণই একটা অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। ভেতরে ভেতরে ভয় কাজ করছে, আসলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পারবে তো!’
শুরু থেকে এই আন্দোলনকে আপনি কীভাবে নিয়েছিলেন? এ প্রশ্নে মিনু বলেন, ‘ছাত্ররা যে আন্দোলন শুরু করেছিল, শুরু থেকেই আমি এর পক্ষে ছিলাম। তবে শিক্ষার্থীর যা চেয়েছিল তা যদি শুরুতেই মেনে নেওয়া হতো, তাহলে এত প্রাণ ক্ষয় হতো না, এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যেত, সেই সঙ্গে আমরাও নিরাপদ থাকতাম। এখন দেখা যাক ইউনূস সাহেব নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন, সবাই মিলে কীভাবে কী করবে এ নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি।’
বাংলাদেশের অডিও ভুবনে শিল্পী আলম আরা মিনুর রয়েছে বহু গান। প্লেব্যাকেও তার গান পেয়েছে শ্রোতাপ্রিয়তা। তার গাওয়া ‘সোনাদানা দামি গহনা’ গানটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। পরে এটি ‘মাটির ফুল’ সিনেমায় সংযোজন করা হয়। অন্যদিকে তার কণ্ঠে দেশাত্মবোধক ‘এই মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা’ গানটি এখনও সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে রেখেছে।
১৯৮৭ সালে বেতারের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন আলম আরা মিনু। ১৯৮৯ সালে নবম শ্রেণিতে পড়াকালে বের হয় তার প্রথম অ্যালবাম। এরপর থেকে রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও মঞ্চে নিয়মিত গান পরিবেশন করেন তিনি। নিজেও সুর করেছেন বেশ কিছু গানের।
বিজনেস আওয়ার/ ১০ আগস্ট / রানা