বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নিত্যপন্য আলু বাজারের অস্থিরতা দূর করতে সরকার দুই দফা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। প্রথমে খুচরায় প্রতিকেজি আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করলেও ব্যবসায়ীদের আপত্তি থাকায় পরে তা ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত খুচরা বাজারে সে দামের প্রতিফলন দেখা যায়নি।
পাইকারি বাজারে বেঁধে দেওয়া দাম না মানায় বাজার মনিটরিং জোরদারের কারণে ব্যবসায়ীরা এখন তা মেনে নিলেও বাধ সেধেছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর অতি নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ বিশিষ্টজনদের।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, কমলাপুর, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, রামপুরা, মগবাজার ও কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তুলনামূলক ছোট, কাটা আলু এবং বড় আলু একত্রে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে।
এসব বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে আলুর দাম অনেক বেশি। প্রতি বস্তায় ৫ কেজি আলু নষ্ট (কাটা ও পঁচা) হয়, পরিবহণ ভাড়া, লেবার খরচ রয়েছে। এক্ষেত্রে পাইকারিতে দাম কমানো না হলে আমরা কম মূল্যে আলু দিতে পারবো না।
এ প্রসঙ্গে মগবাজার বাজারের খুচরা বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমানো হয় না। সেখানে কমালে আমাদের এখানেও কমে আসবে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মতিয়ার বলেন, পাইকারি বাজারে দাম সব সময়ই বাড়তি থাকে। তবে মিডিয়ার গাড়ি কিংবা বাজার মনিটরিং হলেই পাইকারি বিক্রেতাদের চার্টে দামের পরিবর্তন করা হয়।
বিক্রমপুর বাণিজ্যলয় ও আড়তদার বলেন, আমাদের মূল সমস্যা তৈরি করছে হিমাগার। সেখান থেকে ন্যায্য মূল্যে আলু ছাড়া হয় না। আমার আড়তে ৩৫ টাকায় আলু এসেছে, এখন আমি কত টাকায় বিক্রি করবো বলেন? এরপরও লোকসান দিয়ে ৩০ থেকে ৩২ টাকার মধ্যে আলু ছেড়ে দেই, বিক্রি করতে হবে তাই।
এ ব্যাপারে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম নিয়ন্ত্রণে আসুক, এটা সবই চায়। তবে দাম কেনো কমছে না এটা সবাই জেনেছেন। এ বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে তবেই আলুসহ অন্য সব পণ্যের দাম কমবে।
বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২০/এ