বিনোদন ডেস্ক: কলকাতার সিনেমায় দর্শকের জন্য মুগ্ধতার এক নাম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের বৈচিত্রতায় মেধার জৌলুশ দেখিয়ে চলেছেন। নানামাত্রিক চরিত্র দিয়ে পেয়েছেন দুই বাংলার মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান। তার সময়ের সহযোদ্ধা অনেক অভিনেত্রীই যখন আজ বিস্মৃতপ্রায়। বিপরীতে ঋতুপর্ণা এখনো সরব অভিনয়ের আকাশে।
অভিনেত্রী এবার আলোচনায় এসেছেন এক সিদ্ধান্ত নিয়ে। মৃত্যুর পর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন সবার প্রিয় ‘ঋতু’। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সদ্যপ্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য খুব প্রিয় মানুষ ছিলেন অভিনেত্রীর। ঋতুপর্ণার বিয়েতে গিয়েছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর স্বাভাবিকভাবে অভিনেত্রীকেও নাড়া দিয়েছে। প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মৃত্যুর পর তার দেহ দান করার কথা বলে গিয়েছিলেন। সেই প্রেরণাতে ঋতুপর্ণাও দেহদানের অঙ্গীকার করলেন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমার পিসিমা, পিসে মশাই একই পথের পথিক। আমিও সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনও মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল।’
প্রসঙ্গত ঋতুপর্ণার দুটি সিনেমা ‘আলো’ ও ‘পারমিতার একদিন’ দেখে তার প্রশংসা করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তার খুব প্রিয় ছিল এই দুটি সিনেমা। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর তাই অভিনেত্রীকে আলাদা করে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
গত শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে ততক্ষণে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের পথে। জনজোয়ার ঠেলে অভিনেত্রী ছুটে যান প্রিয় নেতার শববাহী গাড়ির দিকে। ঋতুপর্ণার শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য কিছুক্ষণ গাড়ি থামে। আবেগে ভেসে গিয়ে শেষবারের মতো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ঋতুপর্ণার ‘দাবাড়ু’ ও ‘অযোগ্য’ নামে দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। আর এই দুই সিনেমায় তার অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছে। আরও কিছু নতুন সিনেমার কাজ চলছে অভিনেত্রীর।
বিজনেস আওয়ার/ ১২আগস্ট / রানা