স্পোর্টস ডেস্ক: দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন পাকিস্তানে। প্রথম টেস্ট শুরু হবে রাওয়ালপিন্ডিতে ২১ আগস্ট থেকে। দ্বিতীয় টেস্ট করাচিতে মাঠে গড়াবে ৩০ আগস্ট।
এর মধ্যে জানা গেলো, করাচিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে থাকবে না কোনো দর্শক। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলায় এমন সিদ্ধান্ত আয়োজকদের।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা পাকিস্তানে। সেই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে স্টেডিয়ামগুলোকে সংস্কার করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সংস্কার করা হচ্ছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামও।
দর্শক থাকবে না, তারপরও কেন করাচিতে টেস্ট? ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’র প্রতিবেদনে এসেছে, পিসিবি মূলত চাইছে তাদের সাতটি হোম টেস্ট, ওয়ানডে আর ঘরোয়া ক্রিকেট তিন ভেন্যু করাচি, মুলতান এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ভাগ ভাগ করে আয়োজন করতে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টটি মুলতানে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল, যেখানে ৭ অক্টোবর থেকে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে। তবে করাচি স্টেডিয়াম আগে থেকেই ঠিক করে রাখায় হোটেল, ফ্লাইট এবং নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সবকিছুই বদলাতে হবে শেষ মুহূর্তে ভেন্যু বদলালে। তাতে বাড়তি খরচের ঝামেলা।
এদিকে ১৫ অক্টোবর থেকে করাচিতে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের জন্য ভেন্যু পরিবর্তন করছে না পিসিবি। আশা করা হচ্ছে, তার আগেই স্টেডিয়াম সংস্কার হয়ে যাবে, দর্শকরা মাঠে আসতে পারবেন।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার করাচি টেস্টের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ ছিল বলে জানিয়েছে পিসিবি। মাত্র দুদিন আগেই বোর্ড টিকিট বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘সমর্থকদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার। বিকল্প অপশনসহ সবকিছু বিবেচনায় এনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, খালি স্টেডিয়ামে এই টেস্টটি আয়োজন করাই নিরাপদ হবে।’
বাংলাদেশ সবশেষ পাকিস্তানের মাটিতে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল ২০২০ সালে। সে সময় করোনা মহামারির কারণে সফরটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল।
বিজনেস আওয়ার/ ১৪ আগস্ট / রানা