স্পোর্টস ডেস্ক: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এদিকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমদু সজীব ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও আইসিসির বিধিবিধানের কারণে নতুন বিসিবিপ্রধান নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন এখন অভিভাবকশূন্য। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতন হলেও এখনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরেনি দেশে।
এমতাস্থায় আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন বাংলাদেশে হতে কিনা, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চলমান অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে তিন দেশে (ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাত) নেওয়ার প্রস্তাব করতে পারে আইসিসি, এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
অবশেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ভারতকে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহের বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়েছে। তবে আইসিসির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বিসিসিআই। বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করবেন না বলে জানিয়েছেন জয় শাহ।
জয় শাহ বলেন, ‘আমরা রিয়াল মাদ্রিদে আছি। আমাদের কোনো সীমা নেই। আমারও কোনো সীমা নেই।বিসিসিআইয়ের কাছে তারা প্রস্তাব দিয়েছিল; যদি ভারত বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারে। তবে আমি সরাসরি না করে দিয়েছি। আমরা তখনো বর্ষা মৌসুমে থাকতে পারি। তাছাড়া পরের বছর আমরা নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক। আমি এই মনোভাব প্রকাশ করতে চাই না যে, আমরা পরপর দুটো বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চাই।’
মুম্বাইয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নিয়েও কথা বলেন জয় শাহ। এই সিরিজটি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে কথা বলিনি। সেখানে একটি নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তারা হয়তো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, না হলে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। বাংলাদেশ সিরিজ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চলছে অনিশ্চয়তা। চলমান সংকটে যেন ভালোভাবে বাংলাদেশ নারী বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারে, সেজন্য সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ-জামানের কাছে চিঠিও দিয়েছিল ক্রিকেট বোর্ড। পরিস্থিতি সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইসিসিও। বিকল্প হিসেবে বাকি আরও দুই দেশ শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতকে নিয়ে ভাবছে সংস্থাটি।
বিজনেস আওয়ার/ ১৫আগস্ট / রানা