স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুটি টেস্ট ম্যাচের আগে ১৭ আগস্ট দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওই সফরের আগে দেশে পা রেখে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। কিন্তু এখন সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি তাকে দলে রাখা হবে কি না তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এই আশঙ্কার কারণ শাকিবের রাজনৈতিক পরিচয় এবং সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে তার নীরব ভূমিকা।
আওয়ামী লীগের মাগুরা-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব সম্প্রতি সংসদ ভেঙে দেওয়ায় পদ হারিয়েছেন। এছাড়া দেশত্যাগের পর মাগুরায় শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাকিবের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। কোটা আন্দলোনের অন্যতম নেতা আসিফ মাহমুদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
ডাক্তার ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অফিসগুলি বন্টন করা হয়েছে। আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও গতকাল শপথ নিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনিস। বলাই যায় সাকিবের ক্রিকেট ভাগ্য নির্ধারণ করছে আসিফ মাহমুদের উপর।
বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন ১২ বছর ধরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গত জানুয়ারী নির্বাচনে আওয়ামী জয়ী হয়ে পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় সেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হল। রাজনীতিতে যোগ দেওয়া আগে সাকিবকে সম্মানের চোখে দেখছেন অনেকেই।
সাকিব বর্তমানে কানাডায় গ্লোবাল লীগ খেলছেন। সাকিব দেশে আসবেন কি না একটা প্রশ্ন আছেই। যদি সাকিব দেশে ফিরেন তাহলে দলে তার জায়গা হবে কি না সেটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
বিজনেস আওয়ার/১৫ আগস্ট/ রানা