ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবা ক্রিকেটার, ছেলে হলেন মায়ের মতো

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 90

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে সাইফ আলী খান অন্যতম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি ‘বলিউড নবাব’ তকমাও লাভ করেছেন।

আজ (১৬ আগস্ট) সাইফ আলী খানের জন্মদিন। ১৯৭০ সালের আজকের দিনে তিনি পাতৌদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল ‘সাজিদ আলী খান’। তার বাবা ছিলেন খ্যাতিমান ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদি। তিনি ভাতরীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক ছিলেন। সঙ্গত কারণেই সবাই ধরে নিয়েছিলেন বাবার পথ অনুসরণ করেই ছেলে ক্রিকেট মাঠ কাঁপাবেন চার-ছক্কা মেরে।

কিন্তু সাইফের ললাট লিখনে ছিল রূপালি জগতের বাসিন্দা হওয়া। জনপ্রিয় ক্রিকেটার বাবার পুত্র হাঁটলেন সিনেমার রঙিন দুনিয়ায়। নেপথ্যের কারণ হয়তো মা। তার মা বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। মায়ের অভিনয় প্রতিভা সঞ্চারিত হয়েছে সাইফের মধ্যে। অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সবার মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। এভাবেই হয়ে গেলেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনোরাজ্যের নবাব। এ বিষয়ে বোদ্ধারা বলছেন, সাইফের মা হচ্ছেন বলিউডের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী। ফলে সাইফ মায়ের দিকটা প্রকৃতিগতভাবে পেয়েছেন।

সাইফ আলী খান মায়ের পরিচয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পথচলা শুরু করেন। মায়ের কল্যাণে মিডিয়ার লাইমলাইটে এলেও রাতারাতি স্টার হতে পারেননি তিনি। বাবা-মা কিংবা পরিবার বিখ্যাত হলে বলিউড দুনিয়ায় আসন পাতা সহজ হয়। কিন্তু নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করা ছাড়া শীর্ষে ওঠা যায় না।

নিজেকে বলিউড ‘নবাব’ পর্যায় নিয়ে আসতে সাইফ আলী খানকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ১৯৯৩ সালে ‘পরম্পরা’ সিনেমার মাধ্যমে সাইফ আলী খানের বলিউড যাত্রা শুরু হয়। তবে সত্যিকারের সাফল্যের সোনার হরিণ ধরতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১০টি বছর। ২০০১ সালে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে সাইফ নতুনভাবে রূপালি দুনিয়ায় জন্মলাভ করেন।

সেই সাফল্যের পথ ধরে সাইফ বলিউড বাদশা শাহরুখের সঙ্গে ‘কাল হো না হো’ সিনেমায় নতুন করে অভিনয় দক্ষতা দেখান। ফলে সাইফের ওপর বলিউড নির্মাতাদের আস্থা ও ভরসা বাড়তে থাকে। অবশ্য নিজের কিছু সমস্যা প্রথমে তাকে কাটিয়ে উঠতে হয়েছে। আত্মবিশ্বাস বাড়ার পর থেকেই তিনি প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে নেন। ধীরে ধীরে নিজেকে বলিউডের প্রথম সারির একজন তারকা অভিনেতায় রূপান্তরিত করেন সাইফ।

সাইফ আলী খান তার তিন দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এসব সিনেমার মধ্যে, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘কাল হো না হো’, ‘এক হাসিনা থি’, ‘হাম তুম’, ‘পরিণীতা’, ‘সালাম নমস্তে’, ‘বিয়িং সাইরাস’, ‘ওমকারা’, ‘কুরবান’ ও ‘লাভ আজ কাল’ সিনেমাগুলোর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সাইফ আলীর স্ত্রী বলিউড নায়িকা কারিনা কাপুর। এর আগে তিনি অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন। তার সঙ্গে ১৩ বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদ হয় দুজনার। এরপর কারিনার প্রেমে পড়েন এ নায়ক। টানা পাঁচ বছরের প্রেমের পাঠ চুকিয়ে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।

সাইফ ও অমৃতার ঘরে ইব্রাহিম আলি খান নামে এক পুত্র এবং সারা আলি খান নামে এক কন্যা রয়েছে। অন্যদিকে সাইফ ও কারিনার দুই সন্তান তৈমুর ও জাহাঙ্গীর। এখন বেশ সুখে-শান্তিতেই দিন কাটাচ্ছেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/ ১৬ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাবা ক্রিকেটার, ছেলে হলেন মায়ের মতো

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে সাইফ আলী খান অন্যতম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি ‘বলিউড নবাব’ তকমাও লাভ করেছেন।

আজ (১৬ আগস্ট) সাইফ আলী খানের জন্মদিন। ১৯৭০ সালের আজকের দিনে তিনি পাতৌদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল ‘সাজিদ আলী খান’। তার বাবা ছিলেন খ্যাতিমান ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদি। তিনি ভাতরীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক ছিলেন। সঙ্গত কারণেই সবাই ধরে নিয়েছিলেন বাবার পথ অনুসরণ করেই ছেলে ক্রিকেট মাঠ কাঁপাবেন চার-ছক্কা মেরে।

কিন্তু সাইফের ললাট লিখনে ছিল রূপালি জগতের বাসিন্দা হওয়া। জনপ্রিয় ক্রিকেটার বাবার পুত্র হাঁটলেন সিনেমার রঙিন দুনিয়ায়। নেপথ্যের কারণ হয়তো মা। তার মা বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। মায়ের অভিনয় প্রতিভা সঞ্চারিত হয়েছে সাইফের মধ্যে। অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সবার মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। এভাবেই হয়ে গেলেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনোরাজ্যের নবাব। এ বিষয়ে বোদ্ধারা বলছেন, সাইফের মা হচ্ছেন বলিউডের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী। ফলে সাইফ মায়ের দিকটা প্রকৃতিগতভাবে পেয়েছেন।

সাইফ আলী খান মায়ের পরিচয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পথচলা শুরু করেন। মায়ের কল্যাণে মিডিয়ার লাইমলাইটে এলেও রাতারাতি স্টার হতে পারেননি তিনি। বাবা-মা কিংবা পরিবার বিখ্যাত হলে বলিউড দুনিয়ায় আসন পাতা সহজ হয়। কিন্তু নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করা ছাড়া শীর্ষে ওঠা যায় না।

নিজেকে বলিউড ‘নবাব’ পর্যায় নিয়ে আসতে সাইফ আলী খানকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ১৯৯৩ সালে ‘পরম্পরা’ সিনেমার মাধ্যমে সাইফ আলী খানের বলিউড যাত্রা শুরু হয়। তবে সত্যিকারের সাফল্যের সোনার হরিণ ধরতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১০টি বছর। ২০০১ সালে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে সাইফ নতুনভাবে রূপালি দুনিয়ায় জন্মলাভ করেন।

সেই সাফল্যের পথ ধরে সাইফ বলিউড বাদশা শাহরুখের সঙ্গে ‘কাল হো না হো’ সিনেমায় নতুন করে অভিনয় দক্ষতা দেখান। ফলে সাইফের ওপর বলিউড নির্মাতাদের আস্থা ও ভরসা বাড়তে থাকে। অবশ্য নিজের কিছু সমস্যা প্রথমে তাকে কাটিয়ে উঠতে হয়েছে। আত্মবিশ্বাস বাড়ার পর থেকেই তিনি প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে নেন। ধীরে ধীরে নিজেকে বলিউডের প্রথম সারির একজন তারকা অভিনেতায় রূপান্তরিত করেন সাইফ।

সাইফ আলী খান তার তিন দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এসব সিনেমার মধ্যে, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘কাল হো না হো’, ‘এক হাসিনা থি’, ‘হাম তুম’, ‘পরিণীতা’, ‘সালাম নমস্তে’, ‘বিয়িং সাইরাস’, ‘ওমকারা’, ‘কুরবান’ ও ‘লাভ আজ কাল’ সিনেমাগুলোর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সাইফ আলীর স্ত্রী বলিউড নায়িকা কারিনা কাপুর। এর আগে তিনি অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন। তার সঙ্গে ১৩ বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদ হয় দুজনার। এরপর কারিনার প্রেমে পড়েন এ নায়ক। টানা পাঁচ বছরের প্রেমের পাঠ চুকিয়ে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।

সাইফ ও অমৃতার ঘরে ইব্রাহিম আলি খান নামে এক পুত্র এবং সারা আলি খান নামে এক কন্যা রয়েছে। অন্যদিকে সাইফ ও কারিনার দুই সন্তান তৈমুর ও জাহাঙ্গীর। এখন বেশ সুখে-শান্তিতেই দিন কাটাচ্ছেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/ ১৬ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: