ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গার্মেন্টসকর্মী হত্যায় হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • 102

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর আদাবর এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী সোহেল রানাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহতের ভাই মো. ইব্রাহীম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার আদাবর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম ইবরাহীম খলিল।

শেখ হাসিনা ব্যতীত মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ভিকটিম পেশায় একজন গার্মেন্টকর্মী। দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় আদাবর থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। সে সময় স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পুলিশ ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তথা আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। ভিকটিমসহ ঘটনাস্থলে আসামিদের গুলিতে একাধিক নিহত ও অনেকেই আহত হন। এসময় গুলিবিদ্ধ হলে ভিকটিম সোহেল রানাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার অভিযোগে বাদী আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট ও পুলিশ না থাকায় হাজার হাজার আহত ও শত নিহত রোগীর মাঝে ভিকটিম সোহেল রানার পোস্টমর্টেম করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপরাগতা প্রকাশ করেন।

পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই ও আত্মীয়-স্বজন ভিকটিমকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে কবরস্থান কর্তৃপক্ষ পোস্টমর্টেম না থাকায় দাফনে অনিহা প্রকাশ করলে বাদী তার নিহত ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দেউলা গ্রামের স্থানীয় ঠিকানায় দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।

বিজনেস আওয়ার/২০ আগস্ট/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গার্মেন্টসকর্মী হত্যায় হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর আদাবর এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী সোহেল রানাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহতের ভাই মো. ইব্রাহীম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার আদাবর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম ইবরাহীম খলিল।

শেখ হাসিনা ব্যতীত মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ভিকটিম পেশায় একজন গার্মেন্টকর্মী। দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় আদাবর থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। সে সময় স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পুলিশ ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তথা আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। ভিকটিমসহ ঘটনাস্থলে আসামিদের গুলিতে একাধিক নিহত ও অনেকেই আহত হন। এসময় গুলিবিদ্ধ হলে ভিকটিম সোহেল রানাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার অভিযোগে বাদী আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট ও পুলিশ না থাকায় হাজার হাজার আহত ও শত নিহত রোগীর মাঝে ভিকটিম সোহেল রানার পোস্টমর্টেম করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপরাগতা প্রকাশ করেন।

পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই ও আত্মীয়-স্বজন ভিকটিমকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে কবরস্থান কর্তৃপক্ষ পোস্টমর্টেম না থাকায় দাফনে অনিহা প্রকাশ করলে বাদী তার নিহত ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দেউলা গ্রামের স্থানীয় ঠিকানায় দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।

বিজনেস আওয়ার/২০ আগস্ট/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: