স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০৯ সালে মোহামেডানে শুরু, ২০২৪ এ চট্টগ্রাম আবাহনীতে শেষ। দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলে অবশেষে থামলেন ৪৪ বছরের নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে দাপটের সঙ্গেই খেলছিলেন নাসির উদ্দিন। গত মৌসুম শেষ হওয়ার পরই তিনি পেশাদার ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়ার নাসির উদ্দিন চট্টগ্রামের দল আবাহনীতে খেলেই শেষ করলেন পেশাদার ক্যারিয়ার।
শুক্রবার রাঙ্গুনিয়ার নিজ বাসা থেকে নাসির বলেছিলেন, ‘ক্লাবকে আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম এবার খেলবো না। অনেক দিন তো পেশাদার ফুটবল খেললাম।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ছাড়লেও ফুটবল ছাড়ছেন না নাসির উদ্দিন। মোহামেডান, আবাহনী, বসুন্ধরা কিংস, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলা নাসির উদ্দিনকে এখন দেখা যাবে জেলা লিগে।
‘আমি চট্টগ্রাম লিগে খেলবো বনফুল কিশোর স্পোর্টিং ক্লাবে। খেলোয়াড় নিবন্ধন হয়ে গেছে। আমি ওই দলে নাম লিখিয়েছি’ -বলছিলেন নাসির।
নাসির উদ্দিন ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন। ডিফেন্ডার হলেও চারটি গোল আছে তার। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু কাপে তার গোলেই থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ।
নাসির উদ্দিন পেশাদার লিগে খেলার জন্যই ছেড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি। তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম পাইওনিয়ার লিগের দল সাগরিকার জার্সিতে। পরের বছর বউবাজার স্পোর্টিং ক্লাবে খেলেন দ্বিতীয় বিভাগে। ১৯৯৭ সালে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে।
জাতীয় চ্যাম্পিয়নসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সেনাবাহিনীর জার্সিতে দুর্দান্ত খেলে সবার নজর কেড়েছিলেন নাসির। ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন। ২০০৯ সালে সুপার কাপে চট্টগ্রাম মোহামেডানে খেলেন। এরপর ২০০৯ সালে যোগ দেন ঢাকা মোহামেডানে।
শুরুতে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলতেন নাসির। পরে হয়েছেন ডিফেন্ডার। তবে তিনি সব পজিশনেই খেলেছেন ঘুরেফিরে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ১০ পজিশনেই খেলেছি। গোলরক্ষক ছাড়া অন্য সব জায়গায় আমার খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’
খেলা ছেড়ে দিয়ে কোচিং পেশা বেছে নেওয়ার ইচ্ছা নাসিরের। এ জন্য কোচিংয়ের ‘সি’ ও ‘বি’ লাইসেন্স করেছেন তিনি। সুযোগ পেলে প্রিমিয়ার লিগের কোনো দলের কোচিং প্যানেলেও থাকতে চান দুই কন্যার জনক নাসির উদ্দিন।
বিজনেস আওয়ার/ ২৩ আগস্ট / রানা