ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোনঠাসা নাজনীন তাই চলে যান ছেলে কাছে, যুক্তরাষ্ট্রে।

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
  • 129

বিনোদন ডেস্ক: রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়া প্রসঙ্গে বেবী নাজনীন বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করার স্বাধীনতা সবারই থাকা উচিত। অথচ রাজনীতি করায় আমাকে কনসার্ট দেওয়া হয়নি। টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠান থেকেও আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।’ তবে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বাঙালিদের অনুষ্ঠানে বেবী নাজনীনের আবেদন কখনই ফুরায়নি। আসছে ৩১ আগস্ট বেবী নাজনীন গান শোনাবেন কানাডার টরোন্টোতে। সেখানকার বার্চমাউন্ট পার্কের বাংলা মেলায় গাইবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশে দুই-তিন দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি যাবেন কানাডায়। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে ফিরবেন বেবী নাজনীন।

বেবী নাজনীনের গানে হাতেখড়ি বাবা মনসুর সরকারের কাছে। বাবা ছিলেন জাতীয় বেতার ও টেলিভিশনের একজন বিশেষ শ্রেণির যন্ত্রশিল্পী। পরে নিজ আগ্রহ ও উদ্যোগে সংগীতের নানামুখী দীক্ষা নেন নাজনীন। মঞ্চে গাইতে শুরু করেছিলেন সাত বছর বয়স থেকে। ১৯৮০ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেন। এহতেশামের ‘লাগাম’ সিনেমার ওই গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছিলেন আজাদ রহমান। ১৯৮৭ সালে মকসুদ জামিল মিন্টুর সংগীত পরিচালনায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘পত্রমিতা’। এই অ্যালবাম তার ব্যক্তিজীবন ও সংগীতজীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

‘কাল সারা রাত’, ‘দুচোখে ঝুম আসে না’, ‘প্রেম করিলেও দায়’, ‘নিঃশব্দ সুর’ অ্যালবামগুলো আধুনিক বাংলা গানে বেবী নাজনীনকে শক্ত অবস্থান করে দেয়। তার কণ্ঠে ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনের রাত’, ‘এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘দুচোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর’, ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘কই গেলা নিঠুর বন্ধু রে সারা বাংলা খুঁজি তোমারে’, ‘পুবালী বাতাসে’, ‘ও বন্ধু তুমি কই কই রে’সহ অনেক জনপ্রিয় গান আজও মানুষের স্মৃতিতে রয়ে গেছে। তার সর্বশেষ একক অ্যালবাম ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড বেবী নাজনীন’। দেশে তিনি গেয়েছেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের কোনো স্টেজে তাকে আর গাইতে দেখা যায়নি। সিনেমার গানের জন্য বেবী নাজনীন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বহু সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন। নিজে গান লিখেছেন। তার লেখা তিনটি কবিতার বইও প্রকাশিত হয়েছে।

বেবী নাজনীন বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক। দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয়া হবেন কি না জানলে চাইলে বেবী নাজনীন বলেন, ‘গান শোনানোর পাশাপাশি আমি মানুষের সেবা করতে চাই। দেশে ফিরলে দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, তা পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। একটি সুন্দর দেশ গড়তে দলের হয়ে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।’

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কোনঠাসা নাজনীন তাই চলে যান ছেলে কাছে, যুক্তরাষ্ট্রে।

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়া প্রসঙ্গে বেবী নাজনীন বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করার স্বাধীনতা সবারই থাকা উচিত। অথচ রাজনীতি করায় আমাকে কনসার্ট দেওয়া হয়নি। টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠান থেকেও আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।’ তবে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বাঙালিদের অনুষ্ঠানে বেবী নাজনীনের আবেদন কখনই ফুরায়নি। আসছে ৩১ আগস্ট বেবী নাজনীন গান শোনাবেন কানাডার টরোন্টোতে। সেখানকার বার্চমাউন্ট পার্কের বাংলা মেলায় গাইবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশে দুই-তিন দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি যাবেন কানাডায়। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে ফিরবেন বেবী নাজনীন।

বেবী নাজনীনের গানে হাতেখড়ি বাবা মনসুর সরকারের কাছে। বাবা ছিলেন জাতীয় বেতার ও টেলিভিশনের একজন বিশেষ শ্রেণির যন্ত্রশিল্পী। পরে নিজ আগ্রহ ও উদ্যোগে সংগীতের নানামুখী দীক্ষা নেন নাজনীন। মঞ্চে গাইতে শুরু করেছিলেন সাত বছর বয়স থেকে। ১৯৮০ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেন। এহতেশামের ‘লাগাম’ সিনেমার ওই গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছিলেন আজাদ রহমান। ১৯৮৭ সালে মকসুদ জামিল মিন্টুর সংগীত পরিচালনায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘পত্রমিতা’। এই অ্যালবাম তার ব্যক্তিজীবন ও সংগীতজীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

‘কাল সারা রাত’, ‘দুচোখে ঝুম আসে না’, ‘প্রেম করিলেও দায়’, ‘নিঃশব্দ সুর’ অ্যালবামগুলো আধুনিক বাংলা গানে বেবী নাজনীনকে শক্ত অবস্থান করে দেয়। তার কণ্ঠে ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনের রাত’, ‘এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘দুচোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর’, ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘কই গেলা নিঠুর বন্ধু রে সারা বাংলা খুঁজি তোমারে’, ‘পুবালী বাতাসে’, ‘ও বন্ধু তুমি কই কই রে’সহ অনেক জনপ্রিয় গান আজও মানুষের স্মৃতিতে রয়ে গেছে। তার সর্বশেষ একক অ্যালবাম ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড বেবী নাজনীন’। দেশে তিনি গেয়েছেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের কোনো স্টেজে তাকে আর গাইতে দেখা যায়নি। সিনেমার গানের জন্য বেবী নাজনীন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বহু সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন। নিজে গান লিখেছেন। তার লেখা তিনটি কবিতার বইও প্রকাশিত হয়েছে।

বেবী নাজনীন বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক। দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয়া হবেন কি না জানলে চাইলে বেবী নাজনীন বলেন, ‘গান শোনানোর পাশাপাশি আমি মানুষের সেবা করতে চাই। দেশে ফিরলে দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, তা পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। একটি সুন্দর দেশ গড়তে দলের হয়ে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।’

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: