ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫৬৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ, লিড ১১৭ রানের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 66

স্পোর্টস ডেস্ক: রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রানের জবাবে ৫৬৫ রানের পাহাড় গড়ে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টাইগাররা লিড নিয়েছে ১১৭ রানের।

রাওয়ালপিন্ডির উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব। পাকিস্তানি বোলারদের পাত্তাই দেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি।

তবে, সাদমানের মত ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। ১১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে আগা সালমানকে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়েই দুই রান নেন তিনি। সে সঙ্গে পূরণ করে ফেলেন ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০০ বলে পৌঁছান তিন অংকের ঘরে।

চার হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়দিনই শক্ত জবাব দিয়েছিলো পাকিস্তানি বোলারদের। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৫ উইকেটে ৩১৬। উইকেটে থাকা মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস- দু’জনই করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি।

আজ তৃতীয় দিন বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হয় খেলা। ৫৫ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম এবং ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস।

তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি আগাতে পারলেন না লিটন। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হয়ে গেলেন নাসিম শাহের বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় রান ছিল এ সময় ৩২। ১১৪ রানের জুটি গড়েন লিটন এবং মুশফিক।

লিটন ফেরার পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। তারা দুজন সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৯৬ রানের বড় জুটি।

মুশফিকের আজই সুযোগ ছিল সুনিল গাভাস্কার, জহির আব্বাস, হাশিম আমলা, মোহাম্মদ ইউসুফদের কাতারে চলে যাওয়ার। কিংবদন্তি এই ব্যাটারদের টেস্টে আছে ৪টি করে ডাবল সেঞ্চুরি। মুশফিকুর রহিম আজ একদম সেই রেকর্ডের দোরগোড়ায় চলে এসেছিলেন।

হলো না। মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না মুশফিক। ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলিকে স্কয়ার কাট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন টাইগার এই ব্যাটার। ৩৪১ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ২২টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান মুশফিক।

শেষদিকে ১৪ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শরিফুল ইসলাম। ১৬৭.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৫৬৫ রানে।

পাকিস্তানের নাসিম শাহ ৩টি আর শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররম শেহজাদ এবং মোহাম্মদ আলি নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। তার সঙ্গে ২৪০ রানের জু্টি করা সৌদ শাকিল করেন ১৪১ রান।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

৫৬৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ, লিড ১১৭ রানের

পোস্ট হয়েছে : ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রানের জবাবে ৫৬৫ রানের পাহাড় গড়ে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টাইগাররা লিড নিয়েছে ১১৭ রানের।

রাওয়ালপিন্ডির উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব। পাকিস্তানি বোলারদের পাত্তাই দেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি।

তবে, সাদমানের মত ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। ১১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে আগা সালমানকে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়েই দুই রান নেন তিনি। সে সঙ্গে পূরণ করে ফেলেন ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০০ বলে পৌঁছান তিন অংকের ঘরে।

চার হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়দিনই শক্ত জবাব দিয়েছিলো পাকিস্তানি বোলারদের। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৫ উইকেটে ৩১৬। উইকেটে থাকা মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস- দু’জনই করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি।

আজ তৃতীয় দিন বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হয় খেলা। ৫৫ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম এবং ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস।

তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি আগাতে পারলেন না লিটন। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হয়ে গেলেন নাসিম শাহের বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় রান ছিল এ সময় ৩২। ১১৪ রানের জুটি গড়েন লিটন এবং মুশফিক।

লিটন ফেরার পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। তারা দুজন সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৯৬ রানের বড় জুটি।

মুশফিকের আজই সুযোগ ছিল সুনিল গাভাস্কার, জহির আব্বাস, হাশিম আমলা, মোহাম্মদ ইউসুফদের কাতারে চলে যাওয়ার। কিংবদন্তি এই ব্যাটারদের টেস্টে আছে ৪টি করে ডাবল সেঞ্চুরি। মুশফিকুর রহিম আজ একদম সেই রেকর্ডের দোরগোড়ায় চলে এসেছিলেন।

হলো না। মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না মুশফিক। ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলিকে স্কয়ার কাট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন টাইগার এই ব্যাটার। ৩৪১ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ২২টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান মুশফিক।

শেষদিকে ১৪ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শরিফুল ইসলাম। ১৬৭.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৫৬৫ রানে।

পাকিস্তানের নাসিম শাহ ৩টি আর শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররম শেহজাদ এবং মোহাম্মদ আলি নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। তার সঙ্গে ২৪০ রানের জু্টি করা সৌদ শাকিল করেন ১৪১ রান।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: