স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের দুইজন ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। সউদ শাকিল এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ দুই ব্যাটারের ব্যাটে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানের বড় সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।
এরপর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খেলেছেন অসাধারণ। চারটি হাফ সেঞ্চুরি এবং একটি সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরিটি এলো মুশফিকুর রহীমের ব্যাট থেকে। যেন-তেন কোনে সেঞ্চুরি নয়। প্রায় ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি একটি ইনিংস। মাত্র ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরিটি করতে পারেননি মুশফিক। আউট হয়েছিলেন ১৯১ রানে।
কিন্তু মুশফিককে এখন আর ডাবল সেঞ্চুরি মিস হওয়ার আফসোসে পুড়তে হবে না। তার ১৯১ রানের সুবাদে বাংলাদেশ পেয়েছিলেন ৫৬৫ রানের বিশাল সংগ্রহ। লিড দাঁড়িয়েছিলো ১১৭ রানের। এই লিডই বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে বিশাল সহায়তা করেছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বোলাররা রীতিমতো গলা চেপে ধরতে পেরেছিলো মুশফিকের ব্যাট থেকে পাওয়া সাহসে ভর করে। যার ফলে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেখানে জয়ের জন্য লক্ষ্য পেলো মাত্র ৩০ রান। ৬.৩ ওভার এবং বিনা উইকেট ব্যায়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক প্রথম জয়ের লক্ষ্য পূরণ করে টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে ১৯১ রানের ইনিংসটিকে মূল্যায়ন করতেই হতো বিচারকদের। ভিন্ন চিন্তা করার সুযোগই ছিল না। যে কারণে দেখা গেলো, ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকুর রহিমের হাতেই।
বিজনেস আওয়ার/ ২৫ আগস্ট / রানা