স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট চলার সময় ঢাকায় সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হয়েছে হত্যা মামলা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এ মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫৬ জনকে। সাকিব তার একজন।
স্বৈরাচারী সরকারের সংসদ সদস্য হওয়ায় তাদের অন্যায়ের দায় সাকিবের ওপরও বর্তায়। তবে ছাত্র আন্দোলনের সময় সাকিব দেশে ছিলেন না। ছাত্র হত্যায় সরাসরি তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তারপরও মামলা যেহেতু হয়েছে, সাকিবকে এর ঘানি টানতেই হবে। এমন নানামুখী চাপ মাথায় নিয়েই সাকিব রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলেছেন। দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন।
সেই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক মুশফিকুর রহিমের। সতীর্থ হিসেবে একইসঙ্গে বেড়ে উঠেছেন তারা। দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলছেন জাতীয় দলেও। সতীর্থ সাকিবের এই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ালেন মুশফিক। সাকিবের বিরুদ্ধে মামলাকে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ বলছেন তিনি।
ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মুশফিক লিখেছেন, ‘সাকিবকে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সর্বাধিক উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়ার জন্য অভিনন্দন। আমি অনেকবার বলেছি এবং আবার বলছি যে, সাকিবের মতো একজন চ্যাম্পিয়নের সাথে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। একজন টিমমেট এবং ভাই হিসেবে, আমি সাকিবের কঠিন সময়গুলোর সঙ্গী এবং আমি তার বিরুদ্ধে তোলা মিথ্যা অভিযোগের সমর্থন করি না, কারণ আমি জানি সে কখনোই অমানবিক কাজে লিপ্ত হবে না। আমরা সবসময় তোমার পাশে আছি, বন্ধু।’
গতকাল জাতীয় টেস্ট দলের আরেক ক্রিকেটার মুমিনুল হকও সাকিবকে সমর্থন জানিয়েছে লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মুমিনুল লিখেছেন, ‘প্রায় ১৮ বছর ধরে দেশের ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেটে তাঁর হাত ধরে এসেছে কত জয়! সেই মানুষটা এখন মিথ্যা মামলার আসামি!
গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলায় দায়ে অভিযুক্ত সাকিব ভাই তখন কানাডায় খেলছিলেন। দেশেও ছিলেন না লম্বা সময়। সাকিব ভাইয়ের নামে এমন মামলা অপ্রত্যাশিত। এমন ঘটনা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।
যে ছাত্র-জনতার রক্তে নতুন বাংলাদেশ দেখলাম। সেই বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা করে হয়রানি অপ্রত্যাশিত। আমরা চাই নতুন বাংলাদেশে সবাই ন্যায় বিচার পাবে।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের প্রতি সবসময়ই সমর্থন ছিলো, আছে এবং থাকবে। সংকট কাটিয়ে নিশ্চয়ই ভক্তদের ভালোবাসায় আগের মতোই সিক্ত হবে সাকিব ভাই।’
বিজনেস আওয়ার/ ২৬ আগস্ট / রানা