ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শ্রীলেখার, পুলিশের পদক্ষেপ

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • 47

বিনোদন ডেস্ক: যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র৷ আর সেই ঘটনায় মালয়ালম পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে কোচি সিটি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেত্রী ৷ ইমেইলের মাধ্যমে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে ৷

এদিকে ইমেইল মারফত অভিযোগ আসার পরেই রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কোচি পুলিশ। আইজিপি এবং পুলিশ কমিশনার এস. শ্যামসুন্দর জানান, ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৪ ধারায় মহিলা নিগ্রহের অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই ভিত্তিতে তদন্ত হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

২০০৯ সালে পরিচালক রঞ্জিত ‘পালেরি মাণিক্যম: ওরু পাথিরকোলাপথকথিন্তে কথা’ সিনেমা নির্মাণ করেন। এ সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হন শ্রীলেখা। সিনেমাটিতে মাম্মতির সঙ্গে তার অভিনয়ের কথা ছিল। পরে শ্রীলেখার পরিবর্তে শ্বেতা মেনন অভিনয় করেন।

অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন যে রঞ্জিত পরিচালিত ‘পালেরি মানিক্যম’ সিনেমা সম্পর্কিত আলোচনার জন্য তাকে ফ্ল্যাটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তাকে নির্যাতন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু অভিযোগকারিনী বাংলার বাসিন্দা ছিলেন তাই, রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৫৪-বি ধারার অধীনে মামলা রুজু করা যায়নি সেই সময়। অভিযুক্ত রঞ্জিত ফিল্ম অ্যাকাডেমির পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে এর আগেই গণমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেছিলেন, “২০০৯ সালে আমাকে এখান থেকে মিস্টার জোশি যোশেফ নামে একজন যোগাযোগ করেন যে একটা মালয়ালম সিনেমা হচ্ছে, ওরা তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তখন আমার স্বামীর সঙ্গে আমার সমস্যা চলছে।

একইসঙ্গে তখন ‘বন্ধন’ সিরিয়াল করছি। এই কাজটা এল। আমি সব নিয়ে পৌঁছলাম। ফাইভস্টার সুইট দেওয়া হল। সেদিনই পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাড়ি পাঠানো হল।

আমি গেলাম। দেখা করলাম। হ্যান্ডসাম, ইয়ং ডিরেক্টর। কয়েকটা শ্যুট হল। সন্ধায় ডাকা হল। বলা হল প্রোডিউসাররা আসবে। ছোট্ট একটা গ্যাদারিং হবে। আমি পৌঁছলাম।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “সিনেমাটোগ্রাফার বেনু গোপালের সঙ্গে ডিরেক্টরের কথা হচ্ছিল। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ছবির সূত্রে বেণু গোপাল দার সঙ্গে কাজ করেছি আমি। পরিচালক আমাকে বললেন, বেণু গোপাল জি’র সঙ্গে কথা বলবেন? আমিও ফোনটা নিলাম। ব্যালকনিতে গিয়ে কথা বলছি। পরিচালক আমার চুরি নিয়ে খেলতে শুরু করলেন। আমি ভাবলাম হয়ত আমি একটু বেশিই চিন্তা করছি। কিন্তু অস্বস্তি হচ্ছিল। পরে গলার কাছে সুড়সুড়ি দেন। তখন আমি ফোনটা ওর হাতে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পরে একজনকে বলি আমি আর কাজটা করব না

পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেন, ‘যেহেতু এটা একটা অপরাধ, তাই শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ইমেইল করে আমার অভিযোগ দায়ের করেছি।’

বিজনেস আওয়ার/ ২৭ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শ্রীলেখার, পুলিশের পদক্ষেপ

পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র৷ আর সেই ঘটনায় মালয়ালম পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে কোচি সিটি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেত্রী ৷ ইমেইলের মাধ্যমে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে ৷

এদিকে ইমেইল মারফত অভিযোগ আসার পরেই রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কোচি পুলিশ। আইজিপি এবং পুলিশ কমিশনার এস. শ্যামসুন্দর জানান, ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৪ ধারায় মহিলা নিগ্রহের অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই ভিত্তিতে তদন্ত হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

২০০৯ সালে পরিচালক রঞ্জিত ‘পালেরি মাণিক্যম: ওরু পাথিরকোলাপথকথিন্তে কথা’ সিনেমা নির্মাণ করেন। এ সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হন শ্রীলেখা। সিনেমাটিতে মাম্মতির সঙ্গে তার অভিনয়ের কথা ছিল। পরে শ্রীলেখার পরিবর্তে শ্বেতা মেনন অভিনয় করেন।

অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন যে রঞ্জিত পরিচালিত ‘পালেরি মানিক্যম’ সিনেমা সম্পর্কিত আলোচনার জন্য তাকে ফ্ল্যাটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তাকে নির্যাতন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু অভিযোগকারিনী বাংলার বাসিন্দা ছিলেন তাই, রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৫৪-বি ধারার অধীনে মামলা রুজু করা যায়নি সেই সময়। অভিযুক্ত রঞ্জিত ফিল্ম অ্যাকাডেমির পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে এর আগেই গণমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেছিলেন, “২০০৯ সালে আমাকে এখান থেকে মিস্টার জোশি যোশেফ নামে একজন যোগাযোগ করেন যে একটা মালয়ালম সিনেমা হচ্ছে, ওরা তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তখন আমার স্বামীর সঙ্গে আমার সমস্যা চলছে।

একইসঙ্গে তখন ‘বন্ধন’ সিরিয়াল করছি। এই কাজটা এল। আমি সব নিয়ে পৌঁছলাম। ফাইভস্টার সুইট দেওয়া হল। সেদিনই পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাড়ি পাঠানো হল।

আমি গেলাম। দেখা করলাম। হ্যান্ডসাম, ইয়ং ডিরেক্টর। কয়েকটা শ্যুট হল। সন্ধায় ডাকা হল। বলা হল প্রোডিউসাররা আসবে। ছোট্ট একটা গ্যাদারিং হবে। আমি পৌঁছলাম।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “সিনেমাটোগ্রাফার বেনু গোপালের সঙ্গে ডিরেক্টরের কথা হচ্ছিল। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ছবির সূত্রে বেণু গোপাল দার সঙ্গে কাজ করেছি আমি। পরিচালক আমাকে বললেন, বেণু গোপাল জি’র সঙ্গে কথা বলবেন? আমিও ফোনটা নিলাম। ব্যালকনিতে গিয়ে কথা বলছি। পরিচালক আমার চুরি নিয়ে খেলতে শুরু করলেন। আমি ভাবলাম হয়ত আমি একটু বেশিই চিন্তা করছি। কিন্তু অস্বস্তি হচ্ছিল। পরে গলার কাছে সুড়সুড়ি দেন। তখন আমি ফোনটা ওর হাতে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পরে একজনকে বলি আমি আর কাজটা করব না

পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেন, ‘যেহেতু এটা একটা অপরাধ, তাই শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ইমেইল করে আমার অভিযোগ দায়ের করেছি।’

বিজনেস আওয়ার/ ২৭ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: