বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বিদেশি শিক্ষার্থী গ্রহণে সীমা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সম্পত্তির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৫ সালে সরকারিভাবে অর্থায়ন করা বিশ্ববিদ্যালয় ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজারে সীমাবদ্ধ থাকবে। একটি ‘ভালো ও ন্যায্য ব্যবস্থা’ তৈরি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলীয় মন্ত্রী বলেছেন, এই পদক্ষেপের অর্থ হলো, আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় একই সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী কোর্স শুরু করবেন, যা মহামারির আগে ছিল।
ক্লেয়ার জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ট্রেলীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কোভিড-১৯ মহামারির আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি ছিল। আর বেসরকারি বৃত্তিমূলক এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ফিরে এসেছে। তেমনি অসাধুরাও ফিরেছে, যারা দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য এই শিল্পকে কাজে লাগাতে চাইছে। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত লাখ ছাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নতুন এই পদক্ষেপ সামগ্রিক অভিবাসনের রাশ টেনে ধরতে সাহায্য করবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশিদের অভিবাসন সর্বকালের সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছিল, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।
বিপুল সংখ্যক বিদেশিদের আগমনে দেশটিতে বাড়ির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় সম্পত্তির দাম ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মনে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, অতিরিক্ত অভিবাসনই বাড়ির দামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
বিজনেস আওয়ার/ ২৭ আগস্ট / হাসান