ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দুই লাখ মানুষ

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • 87

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চাঁদপুরে ৬ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। উল্টো বানের পানিতে নতুন করে চাঁদপুর সদর ও কচুয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে শুধু শাহরাস্তি উপজেলায় গত তিনদিনে প্রায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

এদিকে অতিবৃষ্টি পান খ্যাত চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কৃষকদের সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। পুরো উপজেলার সব কটি পানের বরজ এখন নিমজ্জিত। ৯০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্ল্যাহর দেওয়া তথ্যমতে, চাঁদপুরে ৮টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সব প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭২৬ জন মানুষ ঠাই নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ৪৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত। বনবাসীদের জন্য ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। বিশেষ করে জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চার লাখ ১০ হাজার টন চাল ও চার লাখ ৭০ হাজার নগদ অর্থ মজুদ আছে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ আগস্ট/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দুই লাখ মানুষ

পোস্ট হয়েছে : ০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চাঁদপুরে ৬ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। উল্টো বানের পানিতে নতুন করে চাঁদপুর সদর ও কচুয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে শুধু শাহরাস্তি উপজেলায় গত তিনদিনে প্রায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

এদিকে অতিবৃষ্টি পান খ্যাত চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কৃষকদের সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। পুরো উপজেলার সব কটি পানের বরজ এখন নিমজ্জিত। ৯০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্ল্যাহর দেওয়া তথ্যমতে, চাঁদপুরে ৮টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সব প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭২৬ জন মানুষ ঠাই নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির জন্য ৪৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত। বনবাসীদের জন্য ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। বিশেষ করে জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চার লাখ ১০ হাজার টন চাল ও চার লাখ ৭০ হাজার নগদ অর্থ মজুদ আছে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ আগস্ট/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: