ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে নাইট শিফটে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ৩৫ শতাংশ চিকিৎসক

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 53

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ভারতে নাইট শিফটে যারা কাজ করেন তারা কতটা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন? সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাইট শিফটে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর খুন হন মৌমিতা দেবনাথ নামের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এরপর থেকেই নারী চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির সময় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিকিৎসকদের এক-তৃতীয়াংশ বিশেষ করে নারীরা রাতের শিফটে কাজের সময় নিজেদের ‘অনিরাপদ’ বা ‘খুব অনিরাপদ’ বোধ করেন। কেউ কেউ সুরক্ষার জন্য নিজেদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।

৩ হাজার ৮৮৫ জন চিকিৎসকের ওপর জরিপ চালিয়েছে আইএমএ। আর জি কর কাণ্ডের পর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে উঠে এসেছে যে, ৪৫ শতাংশ চিকিৎসকই নাইট শিফটের সময় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।

জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়স ছিল ৩৫ বছরের কম এবং ৬১ শতাংশ ইন্টার্ন বা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষার্থী ছিল যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী।

ওই জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, নাইট শিফটে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ চিকিৎসক অনিরাপদ বোধ করেন এবং ১১ দশমিক ৪ শতাংশ অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী।

২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী বেশিরভাগ চিকিৎসকই শিক্ষানবিশ এবং স্নাতকোত্তর করছেন। তারাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নাইট ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা কোনো কক্ষের ব্যবস্থাও থাকে না। যারা এ ধরনের সুবিধা পান তারা জানিয়েছেন যে, তারা কিছুটা নিরাপদ বোধ করেন।

ওই জরিপে আরও দেখা গেছে, চিকিৎসকদের জন্য যেসব কক্ষ বরাদ্দ থাকে সেখানকার সুযোগ-সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ সময়ই কক্ষগুলো জনাকীর্ণ থাকে, গোপনীয়তার অভাব এমনকি অনেক কক্ষের সঙ্গে বাথরুমও থাকে না।

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০১ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভারতে নাইট শিফটে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ৩৫ শতাংশ চিকিৎসক

পোস্ট হয়েছে : ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ভারতে নাইট শিফটে যারা কাজ করেন তারা কতটা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন? সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাইট শিফটে কাজ করার সময় ধর্ষণের পর খুন হন মৌমিতা দেবনাথ নামের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এরপর থেকেই নারী চিকিৎসকদের নাইট ডিউটির সময় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিকিৎসকদের এক-তৃতীয়াংশ বিশেষ করে নারীরা রাতের শিফটে কাজের সময় নিজেদের ‘অনিরাপদ’ বা ‘খুব অনিরাপদ’ বোধ করেন। কেউ কেউ সুরক্ষার জন্য নিজেদের সঙ্গে অস্ত্র রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।

৩ হাজার ৮৮৫ জন চিকিৎসকের ওপর জরিপ চালিয়েছে আইএমএ। আর জি কর কাণ্ডের পর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে উঠে এসেছে যে, ৪৫ শতাংশ চিকিৎসকই নাইট শিফটের সময় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।

জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়স ছিল ৩৫ বছরের কম এবং ৬১ শতাংশ ইন্টার্ন বা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষার্থী ছিল যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নারী।

ওই জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, নাইট শিফটে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ চিকিৎসক অনিরাপদ বোধ করেন এবং ১১ দশমিক ৪ শতাংশ অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী।

২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী বেশিরভাগ চিকিৎসকই শিক্ষানবিশ এবং স্নাতকোত্তর করছেন। তারাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নাইট ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা কোনো কক্ষের ব্যবস্থাও থাকে না। যারা এ ধরনের সুবিধা পান তারা জানিয়েছেন যে, তারা কিছুটা নিরাপদ বোধ করেন।

ওই জরিপে আরও দেখা গেছে, চিকিৎসকদের জন্য যেসব কক্ষ বরাদ্দ থাকে সেখানকার সুযোগ-সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ সময়ই কক্ষগুলো জনাকীর্ণ থাকে, গোপনীয়তার অভাব এমনকি অনেক কক্ষের সঙ্গে বাথরুমও থাকে না।

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০১ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: