ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জার্মানিতে আরও কঠিন হতে পারে রাজনৈতিক আশ্রয়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 56

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: জার্মানিতে আরও কঠিন হতে পারে রাজনৈতিক আশ্রয়। সম্প্রতি জোলিঙেনে ছুরি হামলার ঘটনার জেরে জার্মান সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপের খসড়া প্রকাশ করেছে। এর আওতায় অস্ত্র বহন সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করা, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রাপ্য সুবিধাগুলোর নতুন সীমা নির্ধারণ করা এবং উগ্রপন্থি হুমকির আশঙ্কা দেখা দিলে তা মোকাবিলায় পুলিশের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে।

গত সপ্তাহে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ও আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান এসব প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোনো দেশে প্রথমে নথিভুক্ত হলে তিনি জার্মানিতে কোনো সামাজিক ভাতা পাবেন না।

দেশটিতে প্রকাশ্যে ছুরি বহনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা আরও কড়া করে সুইচব্লেড জাতীয় ছুরি বহনও নিষিদ্ধ করা হবে। উৎসব, ক্রীড়া ম্যাচ, প্রদর্শনী, দোকান-বাজার ও অন্যান্য সমাবেশে এ ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব আনা হচ্ছে।

দূরপাল্লার বাস এবং ট্রেনেও ছুরি বহন করা চলবে না। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত নিয়ম আরও কড়া করা হবে। অস্ত্র ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করলে বিদেশিদের প্রত্যর্পণ আরও সহজ করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

এমন সব প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিরোধী দল এবং রাজ্য সরকারগুরোর সঙ্গে সংলাপে বসতে চায় জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের জোট সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে প্রথম বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে জার্মানির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বর্তমান সভাপতি ও হেসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরিস রাইন শলৎস সরকারের প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এ ক্ষেত্রে ‘ব্রেনস্টর্মিং’ করার জন্য মিলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে অবিলম্বে আমূল পরিবর্তন করতে হবে।

সরকারের প্রস্তাবগুলো খতিয়ে দেখে জার্মানিতে বেআইনি অনুপ্রবেশ কমানোর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবির।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০১ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জার্মানিতে আরও কঠিন হতে পারে রাজনৈতিক আশ্রয়

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: জার্মানিতে আরও কঠিন হতে পারে রাজনৈতিক আশ্রয়। সম্প্রতি জোলিঙেনে ছুরি হামলার ঘটনার জেরে জার্মান সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপের খসড়া প্রকাশ করেছে। এর আওতায় অস্ত্র বহন সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করা, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রাপ্য সুবিধাগুলোর নতুন সীমা নির্ধারণ করা এবং উগ্রপন্থি হুমকির আশঙ্কা দেখা দিলে তা মোকাবিলায় পুলিশের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে।

গত সপ্তাহে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ও আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান এসব প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোনো দেশে প্রথমে নথিভুক্ত হলে তিনি জার্মানিতে কোনো সামাজিক ভাতা পাবেন না।

দেশটিতে প্রকাশ্যে ছুরি বহনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা আরও কড়া করে সুইচব্লেড জাতীয় ছুরি বহনও নিষিদ্ধ করা হবে। উৎসব, ক্রীড়া ম্যাচ, প্রদর্শনী, দোকান-বাজার ও অন্যান্য সমাবেশে এ ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব আনা হচ্ছে।

দূরপাল্লার বাস এবং ট্রেনেও ছুরি বহন করা চলবে না। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত নিয়ম আরও কড়া করা হবে। অস্ত্র ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করলে বিদেশিদের প্রত্যর্পণ আরও সহজ করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

এমন সব প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিরোধী দল এবং রাজ্য সরকারগুরোর সঙ্গে সংলাপে বসতে চায় জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের জোট সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে প্রথম বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে জার্মানির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বর্তমান সভাপতি ও হেসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরিস রাইন শলৎস সরকারের প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এ ক্ষেত্রে ‘ব্রেনস্টর্মিং’ করার জন্য মিলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে অবিলম্বে আমূল পরিবর্তন করতে হবে।

সরকারের প্রস্তাবগুলো খতিয়ে দেখে জার্মানিতে বেআইনি অনুপ্রবেশ কমানোর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবির।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০১ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: