স্পোর্টস ডেস্ক: রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ২৬.২ ওভার ব্যাট করে ১০৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। এই সময়ে বাংলাদেশের বোলাররা শিকার করেছেন ৪ বিগ ফিশ। সাজঘরে পাঠিয়েছেন সাইম আইয়ুব, শান মাসুদ, বাবর আজম ও সউদ শাকিলকে। এত কম রান খরচায় বড় ৪ উইকেট তুলে নেওয়ায় এই সেশন বাংলাদেশের, এটি বলাই যায়!
সোমবার ৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা পাকিস্তান মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে ৬ উইকেটে ১১৭ রানে। অবশ্য ৮৬ রানেই ৬ উইকেট ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে দলকে টেনে এনেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলি আগা। ৩২ রানের জুটি করেছেন তারা। রিজওয়ান ৩৮ আর ৭ রানে অপরাজিত আছেন সালমান আলি। পাকিস্তানের লিড এখন ১২৯ রানের।
১২ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তান দিনের শুরুতে দেখেশুনে ব্যাটিং করছিল। ৩৮ রানের জুটি করেন সাইম ও মাসুদ। তাসকিন আহমেদ সাইমকে ২০ রানে ফেরালে জুটি ভাঙে। তাসকিনের ফুল লেন্থের বল মিড অফে ড্রাইভ করছিলেন সাইম। বাঁপাশে সামান্য ঝাপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দল চাপে থাকলেও স্বভাবসুলভ হয়ে ওয়ানডে মেজাজেই খেলছিলেন মাসুদ। সতর্কতার পাশাপাশি বাউন্ডারিও নিচ্ছিলেন তিনি। তবে পাকিস্তান অধিনায়কের বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার তত্ত্ব বেশিক্ষণ কার্যকর হতে দেননি নাহিদ রানা। শর্ট লেন্থের বল দিয়ে মাসুদকে (৩৪ বলে ২৮) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার।
ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে বাবরের উইকেটও তুলে নেন রানা। প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতের ক্যাচ হন বাবর (১৮ বলে ১১)। এরপর সউদ শাকিলকে সাজঘরের পথ দেখান রানা। তাকে উইটেরক্ষক লিটনের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার। মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পাকিস্তান সহ অধিনায়ক। ৮১ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তার আগে লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান করে বাংলাদেশ।
বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০২ / রানা