ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেক্সিকোতে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 49

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মেক্সিকোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আইনজীবীদের বড় একটি অংশ। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে এই সমাবেশ করেন তারা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিতর্কিত ওই সংস্কারের মাধ্যমে অন্যান্য পরিবর্তনের মধ্যে পপুলার ভোটের মাধ্যমে ফেডারেল ব্যবস্থার বিচারক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই সংস্কারের তীব্র বিরোধিতা করছেন।

সোমবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের মেক্সিকো সিটির অন্যতম প্রধান সড়ক রিফর্মা অ্যাভিনিউয়ের দিকে বড় একটি মিছিল নিয়ে যায়। সে সময় বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার পক্ষে ব্যানার হাতে স্লোগান দেন তারা।

সম্প্রতি আইন কার্যকরের বিষয়ে নতুন কংগ্রেসের অধীনে একটি চূড়ান্ত বিতর্কের জন্য অনুমোদন দিয়েছে মেক্সিকোর একটি কংগ্রেসনাল কমিশন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা রিকার্ডো মনরিয়াল বলেছেন মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এই প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক হবে ও বুধবার ভোটাভুটি হবে। তারপরে আইনটি পাস করানোর জন্য সিনেটে পাঠানো হবে।

ক্ষমতাসীন মোরেনা পার্টি ও তার মিত্রদের নতুন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে ও সিনেটে একটি আসন কম রয়েছে।

জানা গেছে, এই সংস্কারের ফলে প্রায় ৭ হাজার বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিচারপতি- যার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্ভুক্ত, তারা পপুলার ভোটে নির্বাচিত হবেন। ফলে কম অভিজ্ঞতা, বয়স বিবেচনা ও দেশের শীর্ষ আদালতের আকার ছোট হবে। সেই সঙ্গে বিচারকদের তত্ত্বাবধানের জন্য একটি নতুন সংস্থাও তৈরি করবে।

সমালোচকরা বলছেন, এটি বিচারকদের কর্মজীবনকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, নির্বাহী বিভাগের পক্ষে ক্ষমতা সংকোচন করবে এবং বিচার বিভাগকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দ্বারা প্রভাবিত করার সুযোগ দেবে।

সংস্কারের সমর্থকরা বলছেন, এই সংস্কার দেশটির গণতন্ত্রে উন্নতি আনবে। সেই সঙ্গে সহিংস অপরাধের জন্য উচ্চ স্তরের দায়মুক্তির বিষয়টিকেও বাধা দেবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেক্সিকোর বেশিরভাগ প্রসিকিউটর, পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস দুর্নীতিতে জর্জরিত। ফলে তারা এই বিচার বিভাগীয় সংস্কার দ্বারা প্রভাবিত হবে না।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০২ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মেক্সিকোতে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পোস্ট হয়েছে : ০৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মেক্সিকোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আইনজীবীদের বড় একটি অংশ। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে এই সমাবেশ করেন তারা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিতর্কিত ওই সংস্কারের মাধ্যমে অন্যান্য পরিবর্তনের মধ্যে পপুলার ভোটের মাধ্যমে ফেডারেল ব্যবস্থার বিচারক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই সংস্কারের তীব্র বিরোধিতা করছেন।

সোমবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের মেক্সিকো সিটির অন্যতম প্রধান সড়ক রিফর্মা অ্যাভিনিউয়ের দিকে বড় একটি মিছিল নিয়ে যায়। সে সময় বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার পক্ষে ব্যানার হাতে স্লোগান দেন তারা।

সম্প্রতি আইন কার্যকরের বিষয়ে নতুন কংগ্রেসের অধীনে একটি চূড়ান্ত বিতর্কের জন্য অনুমোদন দিয়েছে মেক্সিকোর একটি কংগ্রেসনাল কমিশন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা রিকার্ডো মনরিয়াল বলেছেন মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এই প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক হবে ও বুধবার ভোটাভুটি হবে। তারপরে আইনটি পাস করানোর জন্য সিনেটে পাঠানো হবে।

ক্ষমতাসীন মোরেনা পার্টি ও তার মিত্রদের নতুন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে ও সিনেটে একটি আসন কম রয়েছে।

জানা গেছে, এই সংস্কারের ফলে প্রায় ৭ হাজার বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিচারপতি- যার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্ভুক্ত, তারা পপুলার ভোটে নির্বাচিত হবেন। ফলে কম অভিজ্ঞতা, বয়স বিবেচনা ও দেশের শীর্ষ আদালতের আকার ছোট হবে। সেই সঙ্গে বিচারকদের তত্ত্বাবধানের জন্য একটি নতুন সংস্থাও তৈরি করবে।

সমালোচকরা বলছেন, এটি বিচারকদের কর্মজীবনকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, নির্বাহী বিভাগের পক্ষে ক্ষমতা সংকোচন করবে এবং বিচার বিভাগকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দ্বারা প্রভাবিত করার সুযোগ দেবে।

সংস্কারের সমর্থকরা বলছেন, এই সংস্কার দেশটির গণতন্ত্রে উন্নতি আনবে। সেই সঙ্গে সহিংস অপরাধের জন্য উচ্চ স্তরের দায়মুক্তির বিষয়টিকেও বাধা দেবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেক্সিকোর বেশিরভাগ প্রসিকিউটর, পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস দুর্নীতিতে জর্জরিত। ফলে তারা এই বিচার বিভাগীয় সংস্কার দ্বারা প্রভাবিত হবে না।

সূত্র: রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০২ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: