ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেসাররা যে বিরল কীর্তি উপহার দিলেন বাংলাদেশকে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 48

স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট ম্যাচ জেতায় কারা? ব্যাটাররা নাকি বোলাররা? চিরন্তর এই দ্বন্দ্ব অমিমাংসিত। তবে, অধিকাংশেরই বক্তব্য, ব্যাটাররা যত কারিশমাই দেখাক না কেন, বোলাররা যদি প্রতিপক্ষের পূর্ণ ২০ উইকেট নিতে না পারেন, তাহলে ম্যাচ জয় সম্ভব নয়।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বোলাররা নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। কিন্তু ম্যাচ জয় সম্ভব হয়েছে ১০ উইকেটের ব্যবধানে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৪৮ রান করেছিলো ৪ উইকেট হারিয়ে। ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট হারিয়েছিলো পাকিস্তানিরা।

রাওয়ালিপিন্ডিতে চলমান দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের বোলাররা পাকিস্তানের ২০ উইকেটের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাচ জয়েরও দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি বাগড়া না দেয় তাহলে সোমবার বিজয়ীবেশেই মাঠ ছাড়তে পারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করার পেছনে ৫ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রাখেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫ উইকেট নেন তিনি। বাকি উইকেটগুলো নেন তাসকিন আহমেদ ৩টি, নাহিদ রানা ১টি এবং সাকিব আল হাসান ১টি।

বাংলাদেশের পেসাররা বিরল কীর্তিটা গড়েন দ্বিতীয় ইনিংসে। পাকিস্তানের ১০ উইকেটের সবগুলোই নিলেন পেসাররা। হাসান মাহমুদ ৫টি। নাহিদ রানা ৪টি এবং তাসকিন আহমেদ একটি। কোনো স্পিনারকে উইকেটের ভাগ দেননি পেসাররা।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। এর আগে আর কখনো কোনো ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেটের সবগুলো পেসাররা নিতে পারেননি। এর আগে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট পর্যন্ত নিতে পেরেছিলেন পেসাররা। মোট চারবার। ৮টি করে উইকেট নিতে পেরেছেন চারবার। কিন্তু ১০ উইকেট নেয়ার ঘটনা এবারই প্রথম।

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০২ / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পেসাররা যে বিরল কীর্তি উপহার দিলেন বাংলাদেশকে

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট ম্যাচ জেতায় কারা? ব্যাটাররা নাকি বোলাররা? চিরন্তর এই দ্বন্দ্ব অমিমাংসিত। তবে, অধিকাংশেরই বক্তব্য, ব্যাটাররা যত কারিশমাই দেখাক না কেন, বোলাররা যদি প্রতিপক্ষের পূর্ণ ২০ উইকেট নিতে না পারেন, তাহলে ম্যাচ জয় সম্ভব নয়।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বোলাররা নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। কিন্তু ম্যাচ জয় সম্ভব হয়েছে ১০ উইকেটের ব্যবধানে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৪৮ রান করেছিলো ৪ উইকেট হারিয়ে। ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট হারিয়েছিলো পাকিস্তানিরা।

রাওয়ালিপিন্ডিতে চলমান দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের বোলাররা পাকিস্তানের ২০ উইকেটের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাচ জয়েরও দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি বাগড়া না দেয় তাহলে সোমবার বিজয়ীবেশেই মাঠ ছাড়তে পারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করার পেছনে ৫ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রাখেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫ উইকেট নেন তিনি। বাকি উইকেটগুলো নেন তাসকিন আহমেদ ৩টি, নাহিদ রানা ১টি এবং সাকিব আল হাসান ১টি।

বাংলাদেশের পেসাররা বিরল কীর্তিটা গড়েন দ্বিতীয় ইনিংসে। পাকিস্তানের ১০ উইকেটের সবগুলোই নিলেন পেসাররা। হাসান মাহমুদ ৫টি। নাহিদ রানা ৪টি এবং তাসকিন আহমেদ একটি। কোনো স্পিনারকে উইকেটের ভাগ দেননি পেসাররা।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। এর আগে আর কখনো কোনো ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেটের সবগুলো পেসাররা নিতে পারেননি। এর আগে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট পর্যন্ত নিতে পেরেছিলেন পেসাররা। মোট চারবার। ৮টি করে উইকেট নিতে পেরেছেন চারবার। কিন্তু ১০ উইকেট নেয়ার ঘটনা এবারই প্রথম।

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০২ / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: