ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যানসারে মৃত্যুপ্রতীক্ষিত যুদ্ধের সংবাদদাতা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 53

বিনোদন ডেস্ক: কখনই সারবে না এমন ক্যানসারে আক্রান্ত মার্থা। এখন মৃত্যুর প্রতীক্ষায় তিনি। বই পড়বেন বা গান শুনবেন তেমন মানসিক অবস্থাও নেই। ভেবেছিলেন দূরে কোথাও গিয়ে আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু তখনই দেখা হয়ে যায় বন্ধু ইনগ্রিডের সঙ্গে। নিউইয়র্কের একটি ম্যাগাজিনে কাজ করতে গিয়ে দুজনার পরিচয় ও বন্ধুতা। পরে দুজনার পথ দুদিকে বেঁকেছে। মার্থা গিয়েছিলেন যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে, ইনগ্রিড হয়েছেন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। বন্ধুর মৃত্যুযন্ত্রণার অনুভূতি কি তিনি লিখে রাখবেন পরের বইতে!

গল্পটি লিখেছেন আরেক মার্কিন নারী লেখক সিগরিড নুনেজ তার ‘হোয়াট আর ইউ গোয়িং থ্রো’ উপন্যাসে। সেটাকে অবলম্বন করে চলচ্চিত্রকার পেদ্রো আলমোদোভার বানিয়েছেন সিনেমা ‘দ্য রুম নেক্সট ডোর’। গত সোমবার ইতালির ভেনিসে ৮১তম ‘ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’ হয়ে গেল ছবির ওয়াল্ড প্রিমিয়ার। সেখানে হাজির হয়েছিলেন মার্থা চরিত্রের অভিনেত্রী টিলডা সুইনটন ও ইনগ্রিড চরিত্রের জুলিয়ান মুর।

প্রদর্শনীর পর অস্কারজয়ী দুই অভিনেত্রীর সিনেমা দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছবি শেষে আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে টানা ১৭ মিনিট করতালি দিয়ে ভালো লাগার অনুভূতি জানিয়েছেন হলভর্তি অতিথি। সিনেমা শেষে মঞ্চে আসেন নির্মাতা ও দুই শিল্পী। দুই অভিনেত্রীর গালে চুমু খেয়ে দুজনার দুই হাত বিজয়ীর মতো ওপরে তুলে ধরেন ছবির পরিচালক পেদ্রো।

ভেনিসে প্রায় নিয়মিত হাজির হন জুলিয়ান মুর। ১৯৯৩ সালে রবার্ট অ্যাল্টম্যানের ‘শর্ট কাটস’ ছবিটির সঙ্গে উৎসবে আসেন তিনি। ২০০২ সালে টড হেইন্সের ‘ফার ফ্রম হ্যাভেন’ ভেনিসের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার এনে দেয় তাকে। ২০০৯ সালে ফ্যাশন ডিজাইনার টম ফোর্ড পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অ্যা সিঙ্গেল ম্যান’ ও ২০১৭ সালে জর্জ ক্লুনি পরিচালিত ‘সাবারবিকন’ ছবির প্রচার করতেও ভেনিসে এসেছিলেন মুর। ২০২২ সালে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক ছিলেন তিনি।

টিলডা সুইনটনের ঝুলিতে আছে ভেনিসের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। ১৯৯১ সালে ডেরেক জারমান পরিচালিত ‘এডওয়ার্ড টু’ ছবির জন্য এ পুরস্কার পান তিনি। ২০০৯ সালে লুকা গুয়াদানিনোর ‘আই অ্যাম লাভ’ ছবির জন্যও গিয়েছিলেন শহরটিতে। ২০২০ সালে আজীবন সম্মাননা হিসেবে গোল্ডেন বিয়ার তুলে দেওয়া হয় তার হাতে।

চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘হোয়াট আর ইউ গোয়িং থ্রো’ ছবিটি।

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ সেপ্টেম্বর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ক্যানসারে মৃত্যুপ্রতীক্ষিত যুদ্ধের সংবাদদাতা

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: কখনই সারবে না এমন ক্যানসারে আক্রান্ত মার্থা। এখন মৃত্যুর প্রতীক্ষায় তিনি। বই পড়বেন বা গান শুনবেন তেমন মানসিক অবস্থাও নেই। ভেবেছিলেন দূরে কোথাও গিয়ে আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু তখনই দেখা হয়ে যায় বন্ধু ইনগ্রিডের সঙ্গে। নিউইয়র্কের একটি ম্যাগাজিনে কাজ করতে গিয়ে দুজনার পরিচয় ও বন্ধুতা। পরে দুজনার পথ দুদিকে বেঁকেছে। মার্থা গিয়েছিলেন যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে, ইনগ্রিড হয়েছেন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। বন্ধুর মৃত্যুযন্ত্রণার অনুভূতি কি তিনি লিখে রাখবেন পরের বইতে!

গল্পটি লিখেছেন আরেক মার্কিন নারী লেখক সিগরিড নুনেজ তার ‘হোয়াট আর ইউ গোয়িং থ্রো’ উপন্যাসে। সেটাকে অবলম্বন করে চলচ্চিত্রকার পেদ্রো আলমোদোভার বানিয়েছেন সিনেমা ‘দ্য রুম নেক্সট ডোর’। গত সোমবার ইতালির ভেনিসে ৮১তম ‘ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’ হয়ে গেল ছবির ওয়াল্ড প্রিমিয়ার। সেখানে হাজির হয়েছিলেন মার্থা চরিত্রের অভিনেত্রী টিলডা সুইনটন ও ইনগ্রিড চরিত্রের জুলিয়ান মুর।

প্রদর্শনীর পর অস্কারজয়ী দুই অভিনেত্রীর সিনেমা দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছবি শেষে আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে টানা ১৭ মিনিট করতালি দিয়ে ভালো লাগার অনুভূতি জানিয়েছেন হলভর্তি অতিথি। সিনেমা শেষে মঞ্চে আসেন নির্মাতা ও দুই শিল্পী। দুই অভিনেত্রীর গালে চুমু খেয়ে দুজনার দুই হাত বিজয়ীর মতো ওপরে তুলে ধরেন ছবির পরিচালক পেদ্রো।

ভেনিসে প্রায় নিয়মিত হাজির হন জুলিয়ান মুর। ১৯৯৩ সালে রবার্ট অ্যাল্টম্যানের ‘শর্ট কাটস’ ছবিটির সঙ্গে উৎসবে আসেন তিনি। ২০০২ সালে টড হেইন্সের ‘ফার ফ্রম হ্যাভেন’ ভেনিসের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার এনে দেয় তাকে। ২০০৯ সালে ফ্যাশন ডিজাইনার টম ফোর্ড পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অ্যা সিঙ্গেল ম্যান’ ও ২০১৭ সালে জর্জ ক্লুনি পরিচালিত ‘সাবারবিকন’ ছবির প্রচার করতেও ভেনিসে এসেছিলেন মুর। ২০২২ সালে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক ছিলেন তিনি।

টিলডা সুইনটনের ঝুলিতে আছে ভেনিসের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। ১৯৯১ সালে ডেরেক জারমান পরিচালিত ‘এডওয়ার্ড টু’ ছবির জন্য এ পুরস্কার পান তিনি। ২০০৯ সালে লুকা গুয়াদানিনোর ‘আই অ্যাম লাভ’ ছবির জন্যও গিয়েছিলেন শহরটিতে। ২০২০ সালে আজীবন সম্মাননা হিসেবে গোল্ডেন বিয়ার তুলে দেওয়া হয় তার হাতে।

চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘হোয়াট আর ইউ গোয়িং থ্রো’ ছবিটি।

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ সেপ্টেম্বর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: