বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২০৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। যদিও ঘাটতির এ অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮০ কোটি ডলার কম। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৩৮৪ কোটি ডলার।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ভারসাম্য (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) প্রতিবেদনে এসব তথ্যে পাওয়া গেছে। বিমা, ভ্রমণ খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাসহ (ইপিজেড) রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৯৬৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
এই তিন মাসে পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশের আয় আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। বিপরীতে পণ্য আমদানির ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের চাহিদা কম থাকায় আমদানিজনিত চাহিদাও কম ছিল। তাই আমদানি ব্যয় অত বাড়েনি।
তবে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙা থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি কমে গেছে। প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এ খাতের ঘাটতি ছিল ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি বছরে তা কমে ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৫৪ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাংলাদেশে এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৭১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ হিসাবে তিন মাসে এফডিআই কমেছে ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
আলোচিত সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ৬০ শতাংশ কমে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডলারে নেমেছে। গত বছর নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৭ কোটি ডলার। এই সময়ে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছর একই সময়ে তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ৪৫১ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
বিজনেস আওয়ার/২৮ অক্টোবর, ২০২০/এ