বিনোদন ডেস্ক: ভারতের বিনোদন অঙ্গনে কাজ করার কথা শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রী সোহানা সাবার। তবে কাজ শুরু করার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত নন তিনি। ভারতের একটি গণমাধ্যমকে সাবা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভারতে কাজের ওপর কোনো বিধিনিষেধ দেয়নি, বরং তিনিই মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সময় নিচ্ছেন।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। তারপর বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গন সচল হয়েছে কি না জানতে চেয়েছিল ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার। জবাবে অভিনেত্রী সোহানা সাবা বলেন, ‘আমরা এখনও মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত। স্বাভাবিক কাজে ফিরতে তাই আরও একটু সময় লাগবে।’
ছাত্র আন্দোলন, সরকার পতন, অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ ও বন্যার ঘটনা পরম্পরা বাংলাদেশকে করে তুলেছে টালমাটাল। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সোহানা সাবা বলেছেন, ‘আমরা সংবেদনশীল মানুষ। ভালোমন্দ সবকিছুই আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে। ভালো কিছু ঘটলে যেমন আমরা আনন্দে আত্মহারা হই, তেমনি খারাপ কিছু ঘটলে তার চেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হই। আমরা এখন সেই অবস্থার মধ্যেদিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনারই গভীর ছাপ পড়েছে আমাদের ওপর। আমাদের মানসিক ক্ষত এখনও শুকায়নি।’ আনন্দবাজার অনলাইনের দাবি, সোহানা সাবা তাদের জানিয়েছে যে, সরকার বদলের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে। নতুন করে বড় পালাবদলের অপেক্ষায় আছেন প্রত্যেকে। এ কারণে আপাতত দেশে নতুন কোনো বিনোদনমূলক সৃজনশীল কাজ হচ্ছে না।
ভারতীয় বাংলা ছবিতে তার কাজ প্রসঙ্গেও জানতে চায় গণমাধ্যমটি। পাশাপাশি জানতে চায় পরিস্থিতি বদলের কারণে বাংলাদেশের মানুষের ওপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কি না? জবাবে সাবা জানিয়েছেন, ‘এ রকম কোনও বিধিনিষেধ অন্তর্বতী সরকার আমাদের ওপরে আরোপ করেনি। আমরা চাইলেই আপনাদের দেশে কাজ করতে যেতে পারি। ভিসা সমস্যা তো আগেও ছিল, সেটা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে শেষ কথা হচ্ছে, আমরা এখনও মানসিকভাবে কাজের জন্য প্রস্তুত নই।’
গত ৩ আগস্ট সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আওয়ামী সমর্থক শিল্পীদের একটি গোপন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের কথপোকথন। সেখানকার বেশির ভাগ সদস্য গত ১ আগস্ট হাজির হন বিটিভির ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে। গ্রুপটির স্ক্রিনশট জানান দিচ্ছে, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত এই গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিল্পীদের চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছিল। সেই দলে ছিলেন সোহানা সাবাও।
২০০৪ সালে প্রথম সিনেমা ‘আয়না’য় কাজ শুরু করেন সোহানা সাবা। এরপর ‘খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’ হয়ে ‘বৃহন্নলা’ ও ‘ষড়রিপু’। ২০১৪ সালে বছরের শ্রেষ্ঠ সিনেমা, শ্রেষ্ঠ কাহিনি ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ, তিন শাখায় পুরস্কার পায় ‘বৃহন্নলা’। ছবির কেন্দ্রী চরিত্রে অভিনয় করেন ফেরদৌস। গল্প চুরির অভিযোগে বাতিল করা হয় ছবির পুরস্কার। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম ছবি যাকে পুরস্কার দিয়ে প্রত্যাহার করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/ ০৭ সেপ্টেম্বর / রানা