ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেক্সিমকোর ১৭ কোম্পানির ৮৪৪ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 103

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭ কোম্পানির ৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের বেশি অর্থ পাচার রয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বেশি। রপ্তানির বিপরীতে এই অর্থ দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা আসেনি। ওই টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানির লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিষয়টি নিয়ে অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বেক্সিমকোর ১৭ প্রতিষ্ঠান ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখের বেশি টাকা অপ্রত্যাবাসিত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার প্রকৃত সংখ্যা তদন্ত শেষে উঠে আসবে। এর মধ্যে অ্যাপোলো অ্যাপারেলসের মাধ্যমে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার, বেক্সটেক্স গার্মেন্টসের মাধ্যমে ২৪ মিলিয়ন ডলার, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলসের মাধ্যমে ২৫.০২ মিলিয়ন ডলার এবং এসেস ফ্যাশনের মাধ্যমে ২৪.৩৯ মিলিয়ন ডলার।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে ৩৩ হাজার কোটির বেশি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হওয়া এসব টাকার তথ্য জানতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর পাচার করা প্রকৃত অর্থের পরিমাণ জানা যাবে।

এর আগে সিআইডির মুখপাত্র আজাদ রহমান জানিয়েছিলেন, বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি , আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক থেকে ৫৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩.৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে।

এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। সৌদি আরবে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের বেশির ভাগ অর্থ বাংলাদেশ হতে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৪ সেপ্টেম্বর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বেক্সিমকোর ১৭ কোম্পানির ৮৪৪ কোটি টাকার বেশি পাচার

পোস্ট হয়েছে : ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭ কোম্পানির ৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের বেশি অর্থ পাচার রয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বেশি। রপ্তানির বিপরীতে এই অর্থ দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা আসেনি। ওই টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানির লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিষয়টি নিয়ে অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বেক্সিমকোর ১৭ প্রতিষ্ঠান ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখের বেশি টাকা অপ্রত্যাবাসিত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার প্রকৃত সংখ্যা তদন্ত শেষে উঠে আসবে। এর মধ্যে অ্যাপোলো অ্যাপারেলসের মাধ্যমে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার, বেক্সটেক্স গার্মেন্টসের মাধ্যমে ২৪ মিলিয়ন ডলার, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলসের মাধ্যমে ২৫.০২ মিলিয়ন ডলার এবং এসেস ফ্যাশনের মাধ্যমে ২৪.৩৯ মিলিয়ন ডলার।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে ৩৩ হাজার কোটির বেশি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হওয়া এসব টাকার তথ্য জানতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর পাচার করা প্রকৃত অর্থের পরিমাণ জানা যাবে।

এর আগে সিআইডির মুখপাত্র আজাদ রহমান জানিয়েছিলেন, বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি , আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক থেকে ৫৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩.৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে।

এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। সৌদি আরবে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের বেশির ভাগ অর্থ বাংলাদেশ হতে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৪ সেপ্টেম্বর / এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: