বিনোদন ডেস্ক: অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়া প্রতারণা চক্রের মূল হোতা বিশাল ফুকনকে গ্রেপ্তারের পর আসামে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়। এরপরই এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে অভিনেত্রী অসমীয়া সুমি বোরা। অভিযুক্ত হওয়ায় অভিনেত্রী ও তার স্বামী আত্মসমর্পন করেন পুলিশের কাছে। নেয়া হয় ৫ দিনের রিমান্ডে।
অসমীয়া এই অভিনেত্রী এবং তার স্বামী তার্কিক বোরাকে হেফাজত মেয়াদ বাড়াতে পুলিশ আবেদন না করায় তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত শেষ হয় তাদের। এরপর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আদালতে তোলা হয়। এ সময় পুলিশ তাদের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কোনো আবেদন না করায় বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তাদের আসামের পূর্বে এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কয়েক টাকার দুর্নীতির অভিযোগে বিতর্কিত অভিনেত্রী সুমি বোরা। তার নামে দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর জানা গিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তকারী প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করছেন না সুমি। এ জন্য ধারণা করা হয়েছিল, আদালতে তাদের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হবে। কিন্তু মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে এমন কিছু করেনি পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী সুমির আত্মসমর্পণ ও গ্রেপ্তারের পর তদন্তকারী দলকে কোনো ধরনের সহায়তা করেননি তারা। জিজ্ঞাসাবাদে কান্নাকাটি করেছেন এবং কৌশলে প্রশ্নের উত্তর ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আবার একাধিকবার অসুস্থ বোধ করেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছে সে একদম সুস্থ।
এর আগে গত সপ্তাহের শুরুতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেন অভিনেত্রী সুমি।
ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, আমাকে বেশিদিন কারাগারে রাখতে পারবে না পুলিশ এবং এরপরও কারাগারেই থাকব আমি। এতসবের পরও পালিয়ে যাইনি, তবে মিথ্যা অভিযোগ উঠায় অনেকটা আড়ালে ছিলাম।
এ অভিনেত্রী এমনটাও অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এবং এ কারণে সমস্যায় পড়ছে তার পরিবার। অন্যদিকে তার দেবর অম্লান বোরাকে বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার তাকেও বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়া প্রতারণা চক্রের মূল হোতা বিশাল ফুকনকে ডিব্রুগড়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর আসামে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়। এরপরই এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে অভিনেত্রী সুমি। পুলিশের দাবি, সুমির ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতি ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিশাল ফুকন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়ায় ক্লায়েন্ট সরবরাহ করতেন। ক্লায়েন্টদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিতেন তারা।
বিজনেস আওয়ার/ ১৮ সেপ্টেম্বর / রানা