বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: লেবাননজুড়ে ভয়াবহ পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং আরও বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশুসহ নয়জন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২ হাজার ৭৫০ জন। আহতদের মধ্যে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন।
এছাড়া হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন যোদ্ধাও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পেজার হলো এক ধরনের ছোট যন্ত্র, যা মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। মঙ্গলবার হঠাৎ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক পেজার বিস্ফোরিত হতে থাকে। সেগুলো হ্যাক করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যে পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো হিজবুল্লাহর বিভিন্ন ইউনিট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ব্যবহার করতেন। এসব বিস্ফোরণে তাদের অন্তত দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এসব বিস্ফোরণের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি। তারা বলছে, এর জন্য ইসরায়েলকে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ পেতে হবে।
ইরান-সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে যে, গাজা এবং এর জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই বিস্ফোরণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এদিকে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ আগামীকাল ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে লেবাননের একটি শীর্ষ নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, কয়েক মাস আগেই এই পেজারগুলো দেশে আনা হয়েছিল। ইসরায়েল এবং মার্কিন কয়েকটি সূত্র বলছে, হিজবুল্লাহ এই পরিকল্পনা সম্পর্কে জেনে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ইসরায়েল পরিকল্পনার আগেই পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এই পেজারগুলো তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলো ফার্ম সরবরাহ করেছিল। তবে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে এই কোম্পানি। তারা বলছে, হাঙ্গেরির একটি কোম্পানি এই পেজারগুলো তৈরি করেছে এবং তারা চুক্তির আওতায় তাদের কাছ থেকে এসব পেজার নিয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/ ১৮ সেপ্টেম্বর / হাসান