বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের দেখালো লভ্যাংশের নজিরবিহীন রেকর্ড। লভ্যাংশও যে ১ শতাংশের কম ঘোষণা করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। সেটা আবার শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য। যে কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ১৯-মার্চ ২০) লোকসান হলেও করোনায় দেশ স্থবিরকালীন সময় (এপ্রিল-জুন ২০) মুনাফা হয়েছে বলে অস্বাভাবিক তথ্য প্রকাশ করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) খুলনা প্রিন্টিংয়ের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ০.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ১টি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.০২৫ টাকা বা আড়াই পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটিকে মোট ১১ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ বিতরন করতে হবে।
কোম্পানিটির ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মুনাফা হলেও পর্ষদ কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। তবে গত ২ অর্থবছরে ধরে লোকসান সত্ত্বেও নামমাত্র লভ্যাংশ ঘোষনা করছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ২.৩৪ টাকা লোকসান সত্ত্বেও ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এ বছর শেয়ারপ্রতি ০.৩৬ টাকা লোকসান নিয়ে ০.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করল।
লোকসান সত্ত্বেও এই লভ্যাংশ ঘোষণার পেছনে গেম্বলারদের স্বার্থ সংরক্ষনের চেষ্টা করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। যেখানে কোম্পানির পরিচালকেরাও বেনামে শেয়ার কিনে থাকতে পারেন। এই কারনে লোকসান সত্ত্বেও নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ার দর ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে।
দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই এ কোম্পানিটির ৯ মাসে (জুলাই ১৯-মার্চ ২০) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ০.৫২ টাকা। যা বছর শেষে কমে এসেছে ০.৩৬ টাকায়। অর্থাৎ করোনায় দেশ যখন স্থবির, তখন (এপ্রিল-জুন ২০) শেয়ারপ্রতি ১৬ টাকা মুনাফা করেছে বলে অস্বাভাবিক তথ্য প্রকাশ করেছে। যে কারনে ৯ মাসের তুলনায় পুরো বছরে লোকসান কমে এসেছে।
এসব বিষয়ে জানতে খুলনা প্রিন্টিংয়ের সচিব মিলন খানের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিজনেস আওয়ার/২৯ অক্টোবর, ২০২০/এস
5 thoughts on “লভ্যাংশ দেখালো খুলনা প্রিন্টিং”