বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ১৭ শতাংশ পর্যন্ত হারে মার্জিন ঋণ দেয়। যা ব্যাংকের থেকে নেওয়ার তুলনায় সুদ হার অনেক বেশি। এই সুদ হারকে কমিয়ে আনার জন্য ব্রোকারদের আহবান করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) শীর্ষ ব্রোকারদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে এই আহবান করে কমিশন।
কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, আজকে মূলত বাজারের উন্নয়নে ব্রোকারদের কোন প্রস্তাব আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করেছে কমিশন। আমরা বলার চেয়ে শুনেছি বেশি। তারা কিছু প্রস্তাব করেছে। কমিশন তা আগ্রহের সঙ্গে নিয়েছে। তারা একই মুনাফায় দুইবার কর প্রয়োগের বিষয়টিও বলেছে। যা বিএসইসির হাতে নেই। এটি এনবিআর সমাধান করতে পারে।
তিনি বলেন, কমিশন ব্রোকারদের মার্জিন ঋণের সুদ হার কমানোর জন্য বলেছে। কারন তারা ৯ শতাংশ হারে ঋণ নিলেও ১৭ শতাংশ পর্যন্ত হারে মার্জিন দেয়। এটি বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাই কমিশন এই সুদ হার কমানোর জন্য বলেছে। ব্রোকাররাও কমিশনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। অন্তত ৩-৪ শতাংশ কমানো উচিত বলে ব্রোকাররাও মনে করে। তবে কমিশন এই সুদ হার ১২ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য বলেছে।
কমিশন ব্রোকারদেরকে বসে না থাকে সক্রিয় হওয়ার আহবান করেছে বলে জানান বিএসইসির এই কমিশনার। তিনি বলেন, লেনদেন বাড়লে ব্রোকারদের আয় বাড়বে। তাই এই লেনদেন বাড়ানোর জন্য ব্রোকারদেরকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন…..
লভ্যাংশ দেখালো খুলনা প্রিন্টিং
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, আজ বিশেষ কোন এজেন্ডা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক ছিল না। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কিভাবে ব্রোকাররা ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএসইসি শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং একইসঙ্গে আমাদেরকে বাজারে সক্রিয় হওয়ার জন্য আহবান করেছে বলে জানান বিএমবিএর এই সভাপতি। তিনি বলেন, কমিশন নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে বাজারের উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য বলেছে।
বৈঠকে বাজারের উন্নয়নে করনীয় নিয়ে ব্রোকাররা কিছু মতামত তুলে ধরেছেন বলে জানান ছায়েদুর রহমান। এক্ষেত্রে মার্জিন ঋণের নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যা সমাধান, স্বল্প সুদে অর্থের সরবরাহ ও ভালো কোম্পানি আনতে প্রণোদনার কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামসহ কমিশনারগন ও নির্বাহি পরিচালকেরা অংশ নেন। এতে অংশগ্রহণ করার জন্য শীর্ষ ব্রোকারদের মধ্যে এবি সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান এম ফজলুর রহমান, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেসের প্রতিনিধি মো. রেজাউর রহমান, ইউসিবি ক্যাপিটালের সিইও মোহাম্মদ রহমত পাশা, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজের সিইও মোহাম্মদ খায়রুল আনাম চৌধুরী, আইডিএলসি সিকিউরিটিজের সিইও মো. সাইফুদ্দিন, সিটি ব্রোকারেজের সিইও মিসবাহ উদ্দিন আফ্ফান ইউসুফ ও ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের সিইও আহসানুর রহমানকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
বিজনেস আওয়ার/২৯ অক্টোবর, ২০২০/আরএ