ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষোভের মুখে ইতিবাচক প্রবণতায় শেয়ারবাজার

  • পোস্ট হয়েছে : ৩ ঘন্টা আগে
  • 25

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভের মুখে অবশেষে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে কৃত্রিমভাবে ইতিবাচক প্রবণতায় ফেরানো হয়েছে। এই ইতিবাচকতা কোনো ভাবেই স্থায়ী সমাধান নয় বলে মনে করছেন তারা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান কমিশনের সময়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪৫০ পয়েন্ট। এরমধ্যে গত তিনদিনে সূচক কমেছে ২১৫ পয়েন্ট। সোমবার কমেছে ৩৪ পয়েন্ট, মঙ্গলবার কমেছে ৩৮ পয়েন্ট এবং বুধবার কমেছে ১৩২ পয়েন্ট। বুধবারের পতন ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সর্বোচ্চ পতন।

তিনদিন অব্যাহত পতনে নাস্তানাবুদ বিনিয়োগকারীরা আজ বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা প্রথমে মতিঝিলে মানববন্ধন করেন। এরপর লংমার্চ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে তারা পায়ে হেটে আগারগাঁয়ে বিএসইসি ভবনের সামনে যায়। সেখানে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভে বিএসইসির চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের তোপের মুখে কৃত্রিমভাবে বাজারকে উত্তোলন করা হয়েছে। এটা কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। অব্যাহত পতনে শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সাথে এই তামাশা বন্ধ করা দরকার। দেশের স্বার্থে এবং বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় শেয়ারবাজারকে পতন ধারা থেকে বের করে আনতে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, হাসিনা সরকারের আস্থাভাজনরা দেশের শেয়ারবাজারকে পঙ্গু করে গেছে। এখন বিএসইসিতে যাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি না বুঝেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ না বুঝেই ২৮টির বেশি কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছেন। এতে কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা বেড়ে গেছে। যার কারণে শেয়ারবাজারে বড় বড় পতন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বাজার তথা সবার স্বার্থে অতি দ্রুত বিএসইসি থেকে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ চান।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৮.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ‘ডিএসইএস’ ১.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২২১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ ২.৮২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে ৩১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। আজ লেনদেন বেড়েছে ৫১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বা ১৩ শতাংশ।

ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২০৯টির বা ৫২.৬৪ শতাংশের, কমেছে ১৩৮টির বা ৩৪.৭৬ শতাংশের এবং পরিবর্তন হয়নি ৫০টির বা ১২.৪৯ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার সিএসই আজ ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৯৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২০ টির।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৭১ পয়েন্টে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৩ অক্টোবর/ কাউছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ক্ষোভের মুখে ইতিবাচক প্রবণতায় শেয়ারবাজার

পোস্ট হয়েছে : ৩ ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভের মুখে অবশেষে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে কৃত্রিমভাবে ইতিবাচক প্রবণতায় ফেরানো হয়েছে। এই ইতিবাচকতা কোনো ভাবেই স্থায়ী সমাধান নয় বলে মনে করছেন তারা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান কমিশনের সময়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪৫০ পয়েন্ট। এরমধ্যে গত তিনদিনে সূচক কমেছে ২১৫ পয়েন্ট। সোমবার কমেছে ৩৪ পয়েন্ট, মঙ্গলবার কমেছে ৩৮ পয়েন্ট এবং বুধবার কমেছে ১৩২ পয়েন্ট। বুধবারের পতন ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সর্বোচ্চ পতন।

তিনদিন অব্যাহত পতনে নাস্তানাবুদ বিনিয়োগকারীরা আজ বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা প্রথমে মতিঝিলে মানববন্ধন করেন। এরপর লংমার্চ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে তারা পায়ে হেটে আগারগাঁয়ে বিএসইসি ভবনের সামনে যায়। সেখানে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভে বিএসইসির চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের তোপের মুখে কৃত্রিমভাবে বাজারকে উত্তোলন করা হয়েছে। এটা কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। অব্যাহত পতনে শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সাথে এই তামাশা বন্ধ করা দরকার। দেশের স্বার্থে এবং বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় শেয়ারবাজারকে পতন ধারা থেকে বের করে আনতে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, হাসিনা সরকারের আস্থাভাজনরা দেশের শেয়ারবাজারকে পঙ্গু করে গেছে। এখন বিএসইসিতে যাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি না বুঝেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ না বুঝেই ২৮টির বেশি কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছেন। এতে কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা বেড়ে গেছে। যার কারণে শেয়ারবাজারে বড় বড় পতন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বাজার তথা সবার স্বার্থে অতি দ্রুত বিএসইসি থেকে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ চান।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৮.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ‘ডিএসইএস’ ১.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২২১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ ২.৮২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইতে ৩১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। আজ লেনদেন বেড়েছে ৫১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বা ১৩ শতাংশ।

ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২০৯টির বা ৫২.৬৪ শতাংশের, কমেছে ১৩৮টির বা ৩৪.৭৬ শতাংশের এবং পরিবর্তন হয়নি ৫০টির বা ১২.৪৯ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার সিএসই আজ ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৯৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২০ টির।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৭১ পয়েন্টে।

বিজনেস আওয়ার/ ০৩ অক্টোবর/ কাউছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: