ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সবাইকে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে সরকার’

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
  • 47

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সরকার সবাইকে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজধানীতে বসবাস করা বস্তিবাসীদের নিজ নিজ গ্রামে পাঠিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

সরকারের ৮০ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। আজ ১৬০টি পরিবারের গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এসময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সরকারপ্রধান।

সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশে দারিদ্র থাকবে না জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, সরকার সবাইকে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে। ঢাকার বস্তিবাসীদের যার যার গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, সবাই মিলেমিশে কাজ করলে বাংলাদেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না এবং বেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে দেশ। এসময় নিজ নিজ এলাকার দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু নিজেরা ভালো থাকবো, নিজে সুন্দর থাকবো, নিজে আরাম আয়েশে থাকবো- আর আমার দেশের মানুষ এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে, এটা তো মানবতা না।

তিনি বলেন, যদিও করোনাভাইরাসের কারণে অনেকর কাজ থমকে গেছে। তারপরও আপনারা দেখেছেন, আমরা কিন্তু বসে নেই। এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও আমরা একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টাও করে যাচ্ছি।

মুজিববর্ষে নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীনদের ঘর উপহার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এই চিন্তাভাবনা থেকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে যে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে, একটা ঘর করে দিয়েছে। এটা একটা মহৎ কাজ আপনারা করেছেন।’

ভবিষ্যতেও এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে উঠবে, জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো।’

গণভবন প্রান্তে অন্ষ্ঠুানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বিজনেস আওয়ার/৩১ অক্টবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘সবাইকে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে সরকার’

পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সরকার সবাইকে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজধানীতে বসবাস করা বস্তিবাসীদের নিজ নিজ গ্রামে পাঠিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

সরকারের ৮০ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। আজ ১৬০টি পরিবারের গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এসময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সরকারপ্রধান।

সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশে দারিদ্র থাকবে না জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, সরকার সবাইকে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবে। ঢাকার বস্তিবাসীদের যার যার গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, সবাই মিলেমিশে কাজ করলে বাংলাদেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না এবং বেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে দেশ। এসময় নিজ নিজ এলাকার দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু নিজেরা ভালো থাকবো, নিজে সুন্দর থাকবো, নিজে আরাম আয়েশে থাকবো- আর আমার দেশের মানুষ এলাকার মানুষ কষ্টে থাকবে, এটা তো মানবতা না।

তিনি বলেন, যদিও করোনাভাইরাসের কারণে অনেকর কাজ থমকে গেছে। তারপরও আপনারা দেখেছেন, আমরা কিন্তু বসে নেই। এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও আমরা একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টাও করে যাচ্ছি।

মুজিববর্ষে নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীনদের ঘর উপহার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এই চিন্তাভাবনা থেকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে যে মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে, একটা ঘর করে দিয়েছে। এটা একটা মহৎ কাজ আপনারা করেছেন।’

ভবিষ্যতেও এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে উঠবে, জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো।’

গণভবন প্রান্তে অন্ষ্ঠুানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বিজনেস আওয়ার/৩১ অক্টবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: