ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে প্রথমবারের মতো তিনদিনব্যাপী দুর্গাপূজা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 69

আমিরুল ইসলাম , পর্তুগাল থেকে: পর্তুগালে বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানীর লিসবনে ‘বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটি ইন পর্তুগাল অ্যাসোসিয়েশনের‘ উদ্যোগে এই পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এবারই প্রথম প্রতিমা দিয়ে পূজা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মা দুর্গা এসেছেন দোলনায়। আর যাবেন ‘গজে‘ বলে জানিয়েছেন প্রধান পুরোহিত নন্দন চক্রবর্তী। পুরোহিত আরো বলেন, এবার মা দুর্গা এসেছেন সুখ সমৃদ্ধি ও সাফল্যের বার্তা নিয়ে।

এবারের পূজার সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটি ইন পর্তুগাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন ভৌমিক বলেন, আমরা সবাই বাঙালি। আমরা সবাইবাংলাদেশি হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান।তিনি আরো বলেন দুর্গা পূজার পাশাপাশি পর্তুগালে সকল পুজা পালনের উদ্দে্যাগ নিবো আমরা।

আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। ধর্ম যাইহোক না কেন, উৎসব সবার। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অর্জুন কুমার সিংহ বলেন, পর্তুগালে এবারই প্রথম আমরা প্রতিমা দিয়ে পূজা করছি। ভবিষ্যতে আমরা মন্দির প্রতিষ্ঠা করবো।

শারদীয় দুর্গোৎসবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ, দ্বিতীয় সচিব ও অন্যান্য ককর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব রানা তসলিম উদ্দিন ।পূজায় আগত অতিথিদের স্বাগত জানান পূজা কমিটির নেতারা।

প্রবাসী হিন্দু ধর্মালম্বী বাংলাদেশিরা মিলেমিশে এমন একটি সুন্দর আয়োজন করার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘প্রবাসের মাটিতে হিন্দু ধর্মীয় দুর্গা পূজার এমন আয়োজন দেখে আমি খুব আনন্দিত। ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করা প্রত্যেক ধর্মের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এছাড়াও তিনি সকলের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।’

রাতে পূজা মণ্ডপে প্রবাসী হিন্দু ধর্মালম্বী বাংলাদেশিদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধর্মীয় গান, নাচ এবং আবৃত্তি করা হয়।দশমী অনুষ্ঠানে সিঁদুর দানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পর্তুগালে প্রথমবারের মতো তিনদিনব্যাপী দুর্গাপূজা

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আমিরুল ইসলাম , পর্তুগাল থেকে: পর্তুগালে বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানীর লিসবনে ‘বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটি ইন পর্তুগাল অ্যাসোসিয়েশনের‘ উদ্যোগে এই পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এবারই প্রথম প্রতিমা দিয়ে পূজা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মা দুর্গা এসেছেন দোলনায়। আর যাবেন ‘গজে‘ বলে জানিয়েছেন প্রধান পুরোহিত নন্দন চক্রবর্তী। পুরোহিত আরো বলেন, এবার মা দুর্গা এসেছেন সুখ সমৃদ্ধি ও সাফল্যের বার্তা নিয়ে।

এবারের পূজার সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটি ইন পর্তুগাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন ভৌমিক বলেন, আমরা সবাই বাঙালি। আমরা সবাইবাংলাদেশি হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান।তিনি আরো বলেন দুর্গা পূজার পাশাপাশি পর্তুগালে সকল পুজা পালনের উদ্দে্যাগ নিবো আমরা।

আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। ধর্ম যাইহোক না কেন, উৎসব সবার। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অর্জুন কুমার সিংহ বলেন, পর্তুগালে এবারই প্রথম আমরা প্রতিমা দিয়ে পূজা করছি। ভবিষ্যতে আমরা মন্দির প্রতিষ্ঠা করবো।

শারদীয় দুর্গোৎসবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ, দ্বিতীয় সচিব ও অন্যান্য ককর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব রানা তসলিম উদ্দিন ।পূজায় আগত অতিথিদের স্বাগত জানান পূজা কমিটির নেতারা।

প্রবাসী হিন্দু ধর্মালম্বী বাংলাদেশিরা মিলেমিশে এমন একটি সুন্দর আয়োজন করার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘প্রবাসের মাটিতে হিন্দু ধর্মীয় দুর্গা পূজার এমন আয়োজন দেখে আমি খুব আনন্দিত। ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করা প্রত্যেক ধর্মের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এছাড়াও তিনি সকলের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।’

রাতে পূজা মণ্ডপে প্রবাসী হিন্দু ধর্মালম্বী বাংলাদেশিদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধর্মীয় গান, নাচ এবং আবৃত্তি করা হয়।দশমী অনুষ্ঠানে সিঁদুর দানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: