ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়াতে ২০০ হাতি জবাই করবে জিম্বাবুয়ে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 23

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে খরার কারণে খাদ্যের অভাব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানের সরকারগুলো ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য শতশত বন্যপ্রাণী জবাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

চলতি বছরের আগস্টে নামিবিয়া জানায় তারা ৭২৪টি প্রাণী জবাই করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮৩টি হাসি, ৩০টি জলহস্তি ও ৩০০ জেব্রা। এরপরের মাসে জিম্বাবুয়ে দুইশ হাতি জবাইয়ের অনুমোদন দেয়।

দুই দেশের সরকারই জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভায়বহ খরার প্রভাব কমানো যাবে। এতে একদিকে যেমন ভূমি ও পানির ওপর চাপ কমবে তেমনি লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর হামলাও কমবে।

তবে দেশ দুইটির এমন সিদ্ধান্তের কারণে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পরিবেশবাদীরা এই সিদ্ধন্তকে নিষ্ঠুর বলে আখ্যা দিয়েছে।

মূলত তীব্র খরার কারণে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে মারাত্মকভাবে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। নষ্ট হচ্ছে খাদ্যশস্য, মারা যাচ্ছে পশু। সেখানের প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য দরকার।

চলতি বছরের এপ্রিলে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে। এরপর মে মাসে একই ধরনের ঘোষণা দেয় নামিবিয়া। খরার করণে দেশ দুইটির প্রায় অর্ধেক মানুষ খাদ্য অনিরাপত্তার মুখোমুখি।

সূত্র: সিএনএন

বিজনেস আওয়ার/ ১২ অক্টোবর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়াতে ২০০ হাতি জবাই করবে জিম্বাবুয়ে

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে খরার কারণে খাদ্যের অভাব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানের সরকারগুলো ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য শতশত বন্যপ্রাণী জবাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

চলতি বছরের আগস্টে নামিবিয়া জানায় তারা ৭২৪টি প্রাণী জবাই করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮৩টি হাসি, ৩০টি জলহস্তি ও ৩০০ জেব্রা। এরপরের মাসে জিম্বাবুয়ে দুইশ হাতি জবাইয়ের অনুমোদন দেয়।

দুই দেশের সরকারই জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভায়বহ খরার প্রভাব কমানো যাবে। এতে একদিকে যেমন ভূমি ও পানির ওপর চাপ কমবে তেমনি লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর হামলাও কমবে।

তবে দেশ দুইটির এমন সিদ্ধান্তের কারণে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পরিবেশবাদীরা এই সিদ্ধন্তকে নিষ্ঠুর বলে আখ্যা দিয়েছে।

মূলত তীব্র খরার কারণে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে মারাত্মকভাবে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। নষ্ট হচ্ছে খাদ্যশস্য, মারা যাচ্ছে পশু। সেখানের প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য দরকার।

চলতি বছরের এপ্রিলে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে। এরপর মে মাসে একই ধরনের ঘোষণা দেয় নামিবিয়া। খরার করণে দেশ দুইটির প্রায় অর্ধেক মানুষ খাদ্য অনিরাপত্তার মুখোমুখি।

সূত্র: সিএনএন

বিজনেস আওয়ার/ ১২ অক্টোবর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: