ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে যত রেকর্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 20

স্পোর্টস ডেস্ক: হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে পেয়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ে গেলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এত বেশি চার এবং ছক্কা মারলেন তারা, যেটা রীতিমত রেকর্ড হয়ে গেলো।

বাংলাদেশের বোলারদের একে একে পিটিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে গড়ে ফেললো ২৯৭ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস রেকর্ডের মালিক নেপাল। গত এশিয়ান গেমসে চীনের হাংজুতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গড়েছিলেন ৩১৪ রানের ইনিংস।

এরপর ২৯৭ রানই সর্বোচ্চ। তবে, আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভারতের এই ইনিংসই সর্বোচ্চ। আইসিসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল আফগানিস্তানের। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৭/৩ রান করেছিলো তারা। ভারতের নিজেদের ইতিহাসে তো সর্বোচ্চ ইনিংসই এই ২৯৭ রান। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান করেছিলো ভারত।

শুধু সর্বোচ্চ রানেই নয়, ভারতীয় ব্যাটারদের ব্যাটে তছনছ হয়েছে অনেক রেকর্ডের পাতাও।

২৩২: হায়দরাবাদে ভারতীয় ব্যাটারদের করা ২৯৭ রানের মধ্যে ২৩২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে চার-ছক্কা থেকে আসা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটা। এর আগে চার-ছক্কা থেকে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে গত বছর পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যে ম্যাচে। এর আগে নেপাল ও মঙ্গোলিয়া ম্যাচে নেপাল চার-ছক্কা থেকে রান করেছিলো ২১২।

৪৭: ভারতের এই এক ইনিংসে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ডও হয়েছে। ৪৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এর মধ্যে ২২টি ছক্কা এবং ২৫টি চার। সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কা মারেন সাঞ্জু স্যামসন। এর আগে সর্বোচ্চ ৪৩টি বাউন্ডারি মেরেছিলো চেক রিপাবলিক।

২০১৯ সালে তুরস্কের বিপক্ষে চেক ক্রিকেটাররা এতগুলো বাউন্ডারি মারে। এছাড়া পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশের ম্যাচেও ৪৩টি বাউন্ডারি এসেছিলো। এছাড়া টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এরআগে সর্বোচ্চ ৪২ বাউন্ডারির রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার।

২২: টেস্ট খেলুড়ে দেশের টি-২০তে এক ইনিংসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কাও দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ২২ ছক্কায় আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এ রেকর্ড ভারতের। সব মিলিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও এটি।

১৮: ভারতীয় ইনিংসে ২০ ওভারের মধ্যে মোট ১৮টি ওভারের প্রতিটিতে রান উঠেছে ১০-এর বেশি। টি-টোয়েন্টিতে যা সর্বোচ্চ। এর মধ্যে প্রথম ওভারে সাত এবং নবম ওভারে ৯ রান এসেছিলো। দুটি ওভারই করেছিলেন শেখ মেহেদী হাসান।

১৭৩: স্যামসন ও সূর্যকুমার মিলে ভারতের টি-টোয়েন্টির তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছেন। ৬১ বলে ১৫.০৪ গড়ে দুইজন মিলে করেছেন ১৭৩ রান।

৫: টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ দল হিসেবে বাংলাদেশের পাঁচ বোলার ৪০ রানের বেশি করে রান বিলিয়েছেন। আবার এর মধ্যে তিনজন বোলার রান দিয়েছেন ৫০ এর বেশি। সবচেয়ে বেশি দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে রান তিনি হজম করেছেন৬৬টি। যা বাংলাদেশি যে কোনো বোলারের জন্য সবচেয়ে বেশি। এর আগে পেসার রুবেল হোসেন দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান।

বিজনেস আওয়ার/ ১৩ অক্টোবর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে যত রেকর্ড

পোস্ট হয়েছে : ০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে পেয়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ে গেলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এত বেশি চার এবং ছক্কা মারলেন তারা, যেটা রীতিমত রেকর্ড হয়ে গেলো।

বাংলাদেশের বোলারদের একে একে পিটিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে গড়ে ফেললো ২৯৭ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস রেকর্ডের মালিক নেপাল। গত এশিয়ান গেমসে চীনের হাংজুতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গড়েছিলেন ৩১৪ রানের ইনিংস।

এরপর ২৯৭ রানই সর্বোচ্চ। তবে, আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভারতের এই ইনিংসই সর্বোচ্চ। আইসিসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল আফগানিস্তানের। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৭/৩ রান করেছিলো তারা। ভারতের নিজেদের ইতিহাসে তো সর্বোচ্চ ইনিংসই এই ২৯৭ রান। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান করেছিলো ভারত।

শুধু সর্বোচ্চ রানেই নয়, ভারতীয় ব্যাটারদের ব্যাটে তছনছ হয়েছে অনেক রেকর্ডের পাতাও।

২৩২: হায়দরাবাদে ভারতীয় ব্যাটারদের করা ২৯৭ রানের মধ্যে ২৩২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে চার-ছক্কা থেকে আসা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটা। এর আগে চার-ছক্কা থেকে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে গত বছর পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যে ম্যাচে। এর আগে নেপাল ও মঙ্গোলিয়া ম্যাচে নেপাল চার-ছক্কা থেকে রান করেছিলো ২১২।

৪৭: ভারতের এই এক ইনিংসে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ডও হয়েছে। ৪৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এর মধ্যে ২২টি ছক্কা এবং ২৫টি চার। সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কা মারেন সাঞ্জু স্যামসন। এর আগে সর্বোচ্চ ৪৩টি বাউন্ডারি মেরেছিলো চেক রিপাবলিক।

২০১৯ সালে তুরস্কের বিপক্ষে চেক ক্রিকেটাররা এতগুলো বাউন্ডারি মারে। এছাড়া পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশের ম্যাচেও ৪৩টি বাউন্ডারি এসেছিলো। এছাড়া টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এরআগে সর্বোচ্চ ৪২ বাউন্ডারির রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার।

২২: টেস্ট খেলুড়ে দেশের টি-২০তে এক ইনিংসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কাও দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ২২ ছক্কায় আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এ রেকর্ড ভারতের। সব মিলিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও এটি।

১৮: ভারতীয় ইনিংসে ২০ ওভারের মধ্যে মোট ১৮টি ওভারের প্রতিটিতে রান উঠেছে ১০-এর বেশি। টি-টোয়েন্টিতে যা সর্বোচ্চ। এর মধ্যে প্রথম ওভারে সাত এবং নবম ওভারে ৯ রান এসেছিলো। দুটি ওভারই করেছিলেন শেখ মেহেদী হাসান।

১৭৩: স্যামসন ও সূর্যকুমার মিলে ভারতের টি-টোয়েন্টির তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছেন। ৬১ বলে ১৫.০৪ গড়ে দুইজন মিলে করেছেন ১৭৩ রান।

৫: টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ দল হিসেবে বাংলাদেশের পাঁচ বোলার ৪০ রানের বেশি করে রান বিলিয়েছেন। আবার এর মধ্যে তিনজন বোলার রান দিয়েছেন ৫০ এর বেশি। সবচেয়ে বেশি দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে রান তিনি হজম করেছেন৬৬টি। যা বাংলাদেশি যে কোনো বোলারের জন্য সবচেয়ে বেশি। এর আগে পেসার রুবেল হোসেন দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান।

বিজনেস আওয়ার/ ১৩ অক্টোবর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: