ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ লাখ পরিবার ‘খাদ্য সংকটে’

  • পোস্ট হয়েছে : ৪৯ মিনিট আগে
  • 5

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ লাখ পরিবার পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে সংগ্রাম করছেন বলে ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সন্তানদের ক্ষুধা থেকে রক্ষা করতে বাবা-মা খাবার খাওয়া থেকে হয় বিরত থাকছেন অথবা সারাদিন অভুক্ত থাকছেন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশটির আট লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবার যারা বছরে ৩০ (২০,২০০ ডলার) হাজার অস্ট্রেলীয় ডলারেরও কম আয় করে তারাই এমন গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ সংখ্যা ২০২২ সাল থেকে পাঁচ শতাংশ বেশি। তবে একক পিতামাতার পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হয়। ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়া দেশটির বৃহত্তম ক্ষুধা ত্রাণ দাতব্য সংস্থা। ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার সিইও ব্রায়ানা ক্যাসি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট নিয়ে শুরুতে সতর্ক করে দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, সবসময় নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলোই প্রথম থেকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রাপ্ত তথ্যে এখন এই বিষয়টি ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ব্রায়ানা ক্যাসি বলেন, ‘আমরা এমনও পরিবার দেখছি, যারা কোনোভাবে বেঁচে আছে। যাদের কাছে খুব সীমিত বিকল্প বা সামর্থ্য রয়েছে এবং বেঁচে থাকার জন্য অকল্পনীয় বিকল্প বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবাসন, বিদ্যুত এবং পণ্য সামগ্রীর খরচের সম্মিলিত প্রভাবের কারণে লোকেরা অপরিহার্য মৌলিক খাদ্যও বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে, যদিও কিছু পরিবারের পরিস্থিতি সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

২০২২সালের কভিডের পর অস্ট্রেলিয়ান পরিবারগুলো মুদ্রাস্ফীতি এবং আবাসনের ব্যাপক খরচের সঙ্গে লড়াই করছে। যদিও পত্রিকার শিরোনামগুলো বলছে, মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া আগস্টে ২.৭ শতাংশ-এ ধীরগতিতে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেওয়ায় মুদ্রাস্ফীতিতে এর আংশিক প্রভাব পড়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এ পরিমাপে স্থিরতা কম এবং একে অস্থায়ী প্রভাব হিসেবেই দেখতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবার এবং বন্ধুরা আর সাহায্য দিতে না পারায় পরিবারগুলো খাদ্য ত্রাণ দাতব্য সংস্থাগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ অক্টোবর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ লাখ পরিবার ‘খাদ্য সংকটে’

পোস্ট হয়েছে : ৪৯ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ লাখ পরিবার পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে সংগ্রাম করছেন বলে ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সন্তানদের ক্ষুধা থেকে রক্ষা করতে বাবা-মা খাবার খাওয়া থেকে হয় বিরত থাকছেন অথবা সারাদিন অভুক্ত থাকছেন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশটির আট লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবার যারা বছরে ৩০ (২০,২০০ ডলার) হাজার অস্ট্রেলীয় ডলারেরও কম আয় করে তারাই এমন গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ সংখ্যা ২০২২ সাল থেকে পাঁচ শতাংশ বেশি। তবে একক পিতামাতার পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হয়। ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়া দেশটির বৃহত্তম ক্ষুধা ত্রাণ দাতব্য সংস্থা। ফুডব্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার সিইও ব্রায়ানা ক্যাসি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট নিয়ে শুরুতে সতর্ক করে দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, সবসময় নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলোই প্রথম থেকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রাপ্ত তথ্যে এখন এই বিষয়টি ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ব্রায়ানা ক্যাসি বলেন, ‘আমরা এমনও পরিবার দেখছি, যারা কোনোভাবে বেঁচে আছে। যাদের কাছে খুব সীমিত বিকল্প বা সামর্থ্য রয়েছে এবং বেঁচে থাকার জন্য অকল্পনীয় বিকল্প বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবাসন, বিদ্যুত এবং পণ্য সামগ্রীর খরচের সম্মিলিত প্রভাবের কারণে লোকেরা অপরিহার্য মৌলিক খাদ্যও বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে, যদিও কিছু পরিবারের পরিস্থিতি সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

২০২২সালের কভিডের পর অস্ট্রেলিয়ান পরিবারগুলো মুদ্রাস্ফীতি এবং আবাসনের ব্যাপক খরচের সঙ্গে লড়াই করছে। যদিও পত্রিকার শিরোনামগুলো বলছে, মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া আগস্টে ২.৭ শতাংশ-এ ধীরগতিতে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেওয়ায় মুদ্রাস্ফীতিতে এর আংশিক প্রভাব পড়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এ পরিমাপে স্থিরতা কম এবং একে অস্থায়ী প্রভাব হিসেবেই দেখতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবার এবং বন্ধুরা আর সাহায্য দিতে না পারায় পরিবারগুলো খাদ্য ত্রাণ দাতব্য সংস্থাগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ অক্টোবর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: