স্পোর্টস ডেস্ক: ইনজুরির কারণে উয়েফা নেশনস লিগে চলতি মাসে ইসরায়েল ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে দলের বাইরে ছিলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। তাকে ছাড়া দুটি ম্যাচই জিতেছে ফ্রান্স। ইসরায়েলের বিপক্ষে ৪-১ গোলে ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানের জয়।
দলে জায়গা না পেয়ে সুইডেন ঘুরতে গিয়েছিলেন এমবাপে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির রাজধানী স্টকহামের একটি নৈশক্লাবে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় নিজের নামও জড়িয়ে এসেছেন তিনি। ফরাসি এই তারকা ফুটবলারকে ওই ঘটনায় সন্দেহভাজনদের একজন বলে উল্লেখ করেছে সুইডেনের সংবাদমাধ্যম।
মঙ্গলবার সুইডেনের গণমাধ্যম ‘আফতোব্লাদেত’ ও ‘এক্সপ্রেসেন’ জানায়, এমবাপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপর তদন্ত শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুইডিশ কৌঁসুলিরা। তবে সন্দেহভাজনের নাম উল্লেখ করেননি তারা।
যদিও একে মিথ্যা সংবাদ বলে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এমবাপে। বিশ্বকাপজয়ী এই তারকার আইনজীবী জানান, তিনি অভিযোগ শুনে হতবাক হয়ে গেছেন।
এসব বিতর্কের মুখে এমবাপের পাশে দাঁড়িয়েছে তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাবটি। সেখানে তারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে ‘ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছে রিয়াল।
ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এডিডাস’ এর প্রোমোশনাল ছবি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে এমবাপের নাম, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কৌতুহল বেড়েছে ফুটবলভক্তদের। তাহলে কি এমবাপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলে ধরে নিয়েছে রিয়াল? যদি তা না হয়, তাহলে কেন সরানো হয়েছে এমবাপের নাম।
আসল ঘটনা হলো- ভুলক্রমে এমবাপেকে ছাড়া ছবিটি প্রকাশ করেছিলেন রিয়াল তারকা জুড বেলিংহ্যাম। পরে বিষয়টি স্পষ্ট করে রিয়াল। ক্লাবটি জানায়, বরাবরের মতোই এডিডাসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আছেন এমবাপে।
বিজনেস আওয়ার/ ১৭ অক্টোবর / রানা